শান্তিপুর, 9 জানুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে ৷ পঞ্চায়েত সদস্যের হাত ধরে 100 জন বিজেপি কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে । ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর ৷ বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত 55 নম্বর বুথের বিজেপি সদস্য তারা বাবুরাই ৷ তিনি শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিলেন ঘাসফুলে । রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার কথা দিয়েও তা রাখেনি ৷ তারা বাবুরাইকে প্রাপ্য পদ ও সম্মান দেননি ৷ তাই তারা তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ।
পঞ্চায়েত সদস্য তারা বাবুরাইয়ের দাবি, তাঁকে প্রধান পদের প্রলোভন দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানান বিজেপি সাংসদ । তারপর ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রায় এক মাস তাঁকে জগন্নাথ সরকারের বাড়িতে পরিবার-সহ গৃহবন্দি করে রাখা হয় । কিন্তু বাবলা পঞ্চায়েতের প্রধান হন অন্য আরেকজন বিজেপি সদস্য । তবে পরবর্তীতে জগন্নাথ সরকারকে বারবার জিজ্ঞাসা করলেও কোনরকম কথা বলার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি । সাংসদ তারাকে দিনের পর দিন শুধু বলেছেন পরবর্তীতে তিনি প্রধান হবেন । এমনটাই অভিযোগ এই পঞ্চায়েত সদস্যের ৷ এরপরেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে তারার ৷ তিনি অবশেষে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন ।
তারা বাবুরাই বলেন, "পঞ্চায়েতে গিয়েও কোন কাজ পাচ্ছিলাম না । এলাকার উন্নতিকল্পে তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরলাম ৷ আগামিদিনে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করব । তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম ।"
যোগদান নিয়ে বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, "বিগত দিনে তিনি বিজেপি থেকে জয়লাভ করলেও বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সেবামূলক কাজ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বের উপর ভরসা করে ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করার জন্য তারা বাবুরাই আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন । শুধু তাই নয়, সাংসদ জগন্নাথ সরকার তাঁদেরকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনরকম কাজ হয়নি । তাই এই যোগদান ৷ ভবিষ্যতে বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান হবে ৷ তার জন্য যা যা প্রশাসনিক কাজকর্ম রয়েছে তা পর্যায়ক্রমে শুরু করা হবে ।" এ বছর লোকসভা নির্বাচন ৷ তার আগে এত কর্মীর বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
আরও পড়ুন: