কৃষ্ণনগর, 7 সেপ্টেম্বর : ডাক্তারের সঙ্গে রোগী পরিবারের আত্মীয়দের ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছুরির আঘাতে জখম মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ৷ জখম অবস্থায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ৷ সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৷ সেখানেই আজ ভোরে মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর ৷ নদীয়া থানার নৃসিংহদেবতলার ঘটনা। মৃতের নাম সহদেব সরকার (53)। ইতিমধ্যেই ছুরি চালানোয় অভিযুক্ত রোগী পরিবারের ওই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ অভিযুক্তের নাম মিঠুন বিশ্বাস ৷
দেপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুরতলার নৃসিংহদেবের মন্দিরের কাছে মিষ্টির দোকান রয়েছে সহদেব সরকারের। তার মিষ্টির দোকানের পাশেই রয়েছে একটি চিকিৎসালয় ৷ জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে ওই চিকিৎসালয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি তার মেয়ের জ্বরের ওষুধ নিতে আসেন। এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ ওই সময় ওই যুবক মদ্যপ ছিলেন। তখনই ওষুধের দাম মেটানো নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে বচসা বাধে মিঠুন বিশ্বাস নামে ওই যুবকের ৷ আর সেই বচসা থামাতে গিয়ে ছুরির আঘাতে জখম হন সহদেব সরকার ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সহদেব যখন বচসা থামানোর চেষ্টা করে তখন পাশের ফলের দোকান থেকে একটি ছুরি নিয়ে সহদেবের বুকে আঘাত করে মিঠুন ৷ জখম অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যায় সহদেব ৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থান থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত ৷ স্থানীয়রা সহদেবকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ।
অবশেষে আজ ভোরে মৃত্যু হয় সহদেব সরকারের। তারপরই অভিযুক্ত মিঠুন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ আজ তাকে কৃষ্ণনগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ৷