নবদ্বীপ, 10 ডিসেম্বর: গত শুক্রবার লোকসভায় ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে মহুয়া মৈত্রকে তাঁর সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় ৷ যে প্রসঙ্গে মহুয়ার সাম্প্রতিক অতীতের একটি বক্তব্যকে তুলে ধরে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মা কালী নাকি মদ ও মাংস খান ৷ একবছরও হয়নি, সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে ৷ ধর্মের কল বাতাসে নড়ে ৷’’
রবিবার নবদ্বীপে সারা ভারত কীর্তন ও বাউল গীতি সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত মহাসম্মেলনে অংশ নেন সুকান্ত মজুমদার ৷ সেখানেই সনাতন ধর্ম এবং তাঁর রক্ষা করার প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্রের ইস্যু তুলে ধরেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সনাতন ধর্মের ধারক ও বাহক ৷ আমাদের কর্তব্য সেই সনাতন ধর্মকে রক্ষা করা ৷ কিন্তু, কেউ যখন বলে, মা কালী মদ খায়, মাংস খায় আমরা ঐক্যবদ্ধ হই না ৷ আবার কেউ বলেছিল শিবলিঙ্গে কী একটা পরাবে ৷ আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করার বদলে বৈষ্ণব, শাক্ত এমন নানানভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিলাম ৷’’
সুকান্তর মতে, হিন্দু তথা সনাতন ধর্ম নিজেই নিজেকে রক্ষা করতে জানে ৷ তাই মহুয়া মৈত্রের বহিষ্কার প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি ৷ সুকান্ত বলেন, ‘‘বাংলায় আমাদের প্রচলিত কথা আছে, ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’ ৷ আপনাদের নদিয়ার এক সাংসদ বলেছিলেন, মা কালী মদ খায়, মাংস খায় ৷ একবছরও হয়নি ৷ সাংসদ পদ খোয়া গিয়েছে ৷’’
উল্লেখ্য, দুবাইয়ে শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির থেকে অর্থের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগে, এথিক্স কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অধ্যক্ষ তাঁকে বহিষ্কার করেছেন ৷ এমনকি মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকসভার সাংসদ পোর্টালের আইডি ও পাসওয়ার্ড হিরানন্দানিকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে ৷ গত অক্টোবর মাসে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই, মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকসভার এথিক্স কমিটি তদন্ত শুরু করে ৷ সেই তদন্তের রিপোর্টে তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কারের সুপারিশ এবং সাংসদ পোর্টালের আইডি ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের সুপারিশ করা হয় ৷ সেই মতো, মহুয়া মৈত্রকে অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বহিষ্কার করেছেন ৷
আরও পড়ুন: