শান্তিপুর, 21 ডিসেম্বর : গাড়ি পিছু দিতে হবে 200 টাকা, নয়তো থাকতে হবে 'মান্থলি' ৷ আর তাহলেই অনায়াসে নিয়ম ভেঙে নিয়ে যেতে পারবেন ওভারলোড বালি, পাথর বোঝাই করা লরি । ছাড়পত্র দেবে পুলিশই ৷ মঙ্গলবার এভাবেই টাকা তুলতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল শান্তিপুর থানার পুলিশ (Shantipur police faces an agitation)। এমনকি এলাকা ছেড়ে চলে যেতেও একপ্রকার বাধ্য হন তাঁরা ৷
শান্তিপুর বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগআঁচড়া থেকে ভালুকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বেহাল দশা ছিল দীর্ঘদিন ধরে । অবশেষে নদিয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংস্কার করা হয় রাস্তাটির ৷ কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখের সামনেই ঘটে চলেছে ওভারলোড গাড়ি চলাচলের ঘটনা ৷ টাকা দিলেই মিলছে ছাড়পত্র ৷ মঙ্গলবার সকালে এমনই এক ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল পুলিশ ৷ খবর অনুযায়ী, স্থানীয় ইমারতি বিক্রেতা রাধেশ্যাম ঘোষের 240 সিএফটি বালি বোঝাই একটি লরিকে এদিন আটকায় পুলিশ এবং চাওয়া হয় 200 টাকা ৷ তা দিতে অস্বীকার করলে, কর্তব্যরত শান্তিপুর থানার পুলিশ চালকের কাগজপত্র কেড়ে নেয় এবং মারধর করে ।
এবিষয়ে গাড়ির চালক হাবিব শেখ বলেন, "নিয়ম অনুযায়ী আন্ডার লোড 240 সিএফটি বালি পরিবহণ করার কারণে থানার মান্থলি করার প্রয়োজন বোধ করিনি । কিন্তু কোন অন্যায়ে আজ আমাকে মারধোর করা হল ৷ কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হল ৷" এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ঘিরে ধরেন পুলিশ গাড়িটিকে ৷ বেগতিক দেখে সেখান থেকে চলে যায় গাড়িটি ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে মিলন ঘোষ জানান, মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত গ্রাম শহরে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছেন, অথচ পুলিশের এ ধরনের ভূমিকায় বদনাম হচ্ছে শহরের । প্রতিদিন সকালে আট-দশটা ওভারলোডেড বালির গাড়ি স্থানীয় বাগদেবী তলা ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়া আসা করে ৷ যার জেরে রাস্তার বিপুল ক্ষতি হচ্ছে ।