ETV Bharat / state

Mayapur Isckon Rath: জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রায় সেবায় ছাপান্ন ভোগ মায়াপুরের ইসকনে, পাতে পড়ছে পিৎজা-বার্গার - রথযাত্রা

নদিয়ার মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের সেবাইতরা বর্তমানে ভীষণ ব্যস্ত ৷ কারণ মাসির বাড়ি বেড়াতে এসেছেন মহাপ্রভু জগন্নাথ ও তাঁর ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রা ৷ ফলে আতিথেয়তায় রাখা যাবে না কোনও রকম খামতি ৷ তাই উলটো রথের দিন পর্যন্ত তাঁদের জন্য বানানো হচ্ছে বিশেষ রকমের ছাপান্ন ভোগ ৷ তবে সেই ছাপান্ন ভোগে পদের সংখ্যা থাকে শতাধিক ৷

Etv Bharat
মহাপ্রভু সেবায় ছাপান্ন ভোগ
author img

By

Published : Jun 25, 2023, 7:03 PM IST

মহাপ্রভু সেবায় ছাপান্ন ভোগ

মায়াপুর, 25 জুন: 20 জুন রথযাত্রায় ধুমধাম করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা গিয়েছে মাসির বাড়ি ৷ মাসির বাড়িতে তিন ভাইবোনের আদরযত্নে কোনও খামতি তো রাখা যাবে না ৷ তাই তাদের জন্য বানানো হয়েছে ছাপান্ন ভোগ ৷ তবে নামে ছাপান্ন হলেও দেখা গিয়েছে পদ ছাড়িয়েছে একশোরও বেশিতে ৷ এমনই সাজো-সাজো রব দেখা গিয়েছে নদিয়ার মায়াপুরের ইসকনের রন্ধনশালায় ৷

28 জুন উলটো রথ ৷ ততদিন পর্যন্ত ইসকন মন্দিরে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে শতাধিক পদে মহানন্দে খাওয়া দাওয়ায় দিন কাটাবেন ভগবান জগন্নাথদেব-সহ ভাই বলদেব ও বোন সুভদ্রা। তাদের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে এই কয়েকদিন থাকছে বিশেষ মেনু ৷ ভারতীয় থেকে পাশ্চাত্য, মহাপ্রভুর পাতে ঠাঁই পেয়েছে নানা রকম পদ ৷ কী নেই সেই মেনুতে? মহাপ্রভুর প্রিয় ফল কাঁঠাল-সহ অন্যান্য ফলমূল, শাক-সবজি, খিচুড়ি, মিষ্টি ডাল, পিঠে-পুলি, লুচি, পায়েস এবং বিভিন্ন রকমারি মিষ্টি। এখানেই শেষ নয়, তালিকায় রয়েছে পাস্তা, পিৎজা, বার্গার, চাউমিনও ৷

দেশি-বিদেশি মেনুতে প্রায় জনা পঞ্চাশেক রাঁধুনি ও তাঁদের সহযোগীরা দিনভর দু'বেলা জগৎপতি জগন্নাথের আতিথেয়তা দিতে ব্যস্ত। এভাবেই উলটো রথ শুক্রবার পর্যন্ত মহা আনন্দে রকমারি পদ দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে পুনরায় নিজের গন্তব্য রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে যাবেন মহাপ্রভু। প্রতিদিন জগন্নাথ দেবকে ভোগ নিবেদনের পর প্রসাদ পাচ্ছেন কয়েক হাজার ভক্ত। মায়াপুর ইসকন মন্দির পরিচালিত সম্প্রীতির এই রথযাত্রা উৎসবে, হিন্দু ও মুসলমান সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে ইসকনের গুণ্ডিচা মন্দিরকে ঘিরে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসকন মায়াপুর মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ জানান, গত মঙ্গলবার রথযাত্রার দিন ভগবান জগন্নাথদেব-সহ বলদেব ও সুভদ্রা দেবী রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে সুসজ্জিত তিনটি রথে চেপে দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর ইসকন মন্দির সংলগ্ন ভাগীরথী নদী তীরবর্তী অস্থায়ী মাসির বাড়ি গুণ্ডিচায় এসে পৌঁছেছেন।

আরও পড়ুন: অদিতির কণ্ঠে 'শ্রী জগন্নাথ কীর্তন', ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রথের দড়িতে টান শিল্পীর

তিনি বলেন, "এই সাতদিন আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করি মহাপ্রভুর জন্য বিভিন্ন রকমারি পদ দিয়ে ভোগ নিবেদন করার। জগতের নাথ যে ক'দিন মাসির বাড়িতে থাকবেন, ততদিন তাঁর পছন্দের সব ধরনের খাবার তৈরি করে তাঁকে সন্তুষ্টি করার চেষ্টা করেন তাঁর ভক্তরা। বছরে একটি বার ভ্রাতা ও ভগিনীকে নিয়ে মাসির বাড়ি আসেন জগতের নাথ জগন্নাথ। তাঁর যত্নতে যাতে কোনওরকম খামতি না থাকে, তার জন্য সর্বদা খেয়াল রেখে চলেছেন ইসকনের ভক্তরা। এছাড়াও ভগবান জগন্নাথদেব আগামী বুধবার উলটো রথের দিন দুপুরের পর নিজগৃহ রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে যাবেন। ততদিন ইসকনে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে তৈরি সুসজ্জিত গুন্ডিচায় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।"

মহাপ্রভু সেবায় ছাপান্ন ভোগ

মায়াপুর, 25 জুন: 20 জুন রথযাত্রায় ধুমধাম করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা গিয়েছে মাসির বাড়ি ৷ মাসির বাড়িতে তিন ভাইবোনের আদরযত্নে কোনও খামতি তো রাখা যাবে না ৷ তাই তাদের জন্য বানানো হয়েছে ছাপান্ন ভোগ ৷ তবে নামে ছাপান্ন হলেও দেখা গিয়েছে পদ ছাড়িয়েছে একশোরও বেশিতে ৷ এমনই সাজো-সাজো রব দেখা গিয়েছে নদিয়ার মায়াপুরের ইসকনের রন্ধনশালায় ৷

28 জুন উলটো রথ ৷ ততদিন পর্যন্ত ইসকন মন্দিরে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে শতাধিক পদে মহানন্দে খাওয়া দাওয়ায় দিন কাটাবেন ভগবান জগন্নাথদেব-সহ ভাই বলদেব ও বোন সুভদ্রা। তাদের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে এই কয়েকদিন থাকছে বিশেষ মেনু ৷ ভারতীয় থেকে পাশ্চাত্য, মহাপ্রভুর পাতে ঠাঁই পেয়েছে নানা রকম পদ ৷ কী নেই সেই মেনুতে? মহাপ্রভুর প্রিয় ফল কাঁঠাল-সহ অন্যান্য ফলমূল, শাক-সবজি, খিচুড়ি, মিষ্টি ডাল, পিঠে-পুলি, লুচি, পায়েস এবং বিভিন্ন রকমারি মিষ্টি। এখানেই শেষ নয়, তালিকায় রয়েছে পাস্তা, পিৎজা, বার্গার, চাউমিনও ৷

দেশি-বিদেশি মেনুতে প্রায় জনা পঞ্চাশেক রাঁধুনি ও তাঁদের সহযোগীরা দিনভর দু'বেলা জগৎপতি জগন্নাথের আতিথেয়তা দিতে ব্যস্ত। এভাবেই উলটো রথ শুক্রবার পর্যন্ত মহা আনন্দে রকমারি পদ দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে পুনরায় নিজের গন্তব্য রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে যাবেন মহাপ্রভু। প্রতিদিন জগন্নাথ দেবকে ভোগ নিবেদনের পর প্রসাদ পাচ্ছেন কয়েক হাজার ভক্ত। মায়াপুর ইসকন মন্দির পরিচালিত সম্প্রীতির এই রথযাত্রা উৎসবে, হিন্দু ও মুসলমান সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে ইসকনের গুণ্ডিচা মন্দিরকে ঘিরে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসকন মায়াপুর মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ জানান, গত মঙ্গলবার রথযাত্রার দিন ভগবান জগন্নাথদেব-সহ বলদেব ও সুভদ্রা দেবী রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে সুসজ্জিত তিনটি রথে চেপে দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর ইসকন মন্দির সংলগ্ন ভাগীরথী নদী তীরবর্তী অস্থায়ী মাসির বাড়ি গুণ্ডিচায় এসে পৌঁছেছেন।

আরও পড়ুন: অদিতির কণ্ঠে 'শ্রী জগন্নাথ কীর্তন', ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রথের দড়িতে টান শিল্পীর

তিনি বলেন, "এই সাতদিন আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করি মহাপ্রভুর জন্য বিভিন্ন রকমারি পদ দিয়ে ভোগ নিবেদন করার। জগতের নাথ যে ক'দিন মাসির বাড়িতে থাকবেন, ততদিন তাঁর পছন্দের সব ধরনের খাবার তৈরি করে তাঁকে সন্তুষ্টি করার চেষ্টা করেন তাঁর ভক্তরা। বছরে একটি বার ভ্রাতা ও ভগিনীকে নিয়ে মাসির বাড়ি আসেন জগতের নাথ জগন্নাথ। তাঁর যত্নতে যাতে কোনওরকম খামতি না থাকে, তার জন্য সর্বদা খেয়াল রেখে চলেছেন ইসকনের ভক্তরা। এছাড়াও ভগবান জগন্নাথদেব আগামী বুধবার উলটো রথের দিন দুপুরের পর নিজগৃহ রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে যাবেন। ততদিন ইসকনে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে তৈরি সুসজ্জিত গুন্ডিচায় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.