শান্তিপুর(নদিয়া), 7 মে: জন্মদিনই মৃত্যুদিনে পরিণত হল পড়ুয়ার ৷ জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগেই নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রী । শনিবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বড়বাজার এলাকায় । মৃত ওই কলেজ ছাত্রীর নাম কোয়েল হালদার ৷ বয়স 20 বছর । তাঁর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে শান্তিপুর থানার পুলিশ ৷ তবে ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য । কোয়েল কল্যাণী মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ৷ গতকাল তাঁর 20তম জন্মদিন ছিল ।
জানা গিয়েছে, কোয়েলের পরিবারের তরফ থেকে জন্মদিন উপলক্ষে কেনাকাটা করা হয়েছিল । ওই ছাত্রীর জামা কাপড় থেকে শুরু করে জন্মদিনে ঘর সাজানোর জন্য বেলুনও কেনা হয়ে গিয়েছিল । যে ঘরে তাঁর জন্মদিন পালন হবে সেটিকে সাজিয়ে তুলেছিল পরিবার । মেয়েকে নিয়ে বাজার সেরে শনিবার আনুমানিক রাত দশটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন তাঁর বাবা । এরপর কোয়েল উপরে নিজের ঘরে চলে যান ৷ সেখানে একাই ছিলেন কোয়েল বলে জানা গিয়েছে । কিছুক্ষণ পর ডাকাডাকি করলেও তাঁর কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি ৷ এরপর, কোয়েলের বাড়ির লোকেরা তাঁর ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন, তাঁর দেহ ঝুলছে । এরপরেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায় ৷ তা শুনে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ । পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে ।
এ বিষয়ে আত্মঘাতী ওই ছাত্রীর মা মামণি হালদার বলেন, "ইদানিং আমার মেয়ে একটু অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল । আগের তুলনায় তাঁর রাগ অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল । আজ বাজার করার সময়ও জামা কেনা নিয়ে মজা করে সামান্য একটু কথা কাটাকাটি হয় । মেয়ে বাড়িতে এসে বলেছিল আমার জন্য কাউকে কিছু কিনতে হবে না । এরপরই এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল ।" মেয়ের কেন হঠাৎ এমন পরিবর্তন ঘটল, সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি তাঁর মা । রবিবার দেহটিকে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ । পাশাপাশি এই ঘটনার পিছনে নিছক আত্মহত্যা, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে ৷ তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন: প্রেমে ব্যর্থ যুবকের আত্মহত্যা, হাওড়ার তাঁতিপাড়া লেনে শোকের ছায়া