শান্তিপুর, 3 অগস্ট : মানিকনগর ৷ গ্রামে প্রায় চার হাজার মানুষের বসবাস ৷ হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্কুল, বিডিও অফিস কিংবা থানা ৷ যেতে গেলে অতিক্রম করতে হবে প্রায় 20 কিমির বেশি পথ ৷ প্রাথমিক থাকলেও এলাকায় নেই কোনও হাই স্কুল । ভোট আসে, ভোট যায় ৷ জমা হয় রাশি রাশি আশ্বাস ৷ কোনওটাতেই কাজ হয়নি ৷
চরম দুর্দশা এবং সমস্যার মধ্যে বসবাস করছেন মানিকনগরের চার হাজার বাসিন্দা ৷ নদিয়ার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম মানিকনগর । 2021 সালেও পরিস্থিতি দুর্বিষহ ৷ গ্রামটি অতীতে শান্তিপুরের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরে গঙ্গার ভাঙন ও চর পড়ায় তা নদিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বর্ধমান সংলগ্ন হয়ে যায় ৷
তবে এখনও যে কোনও সরকারি কাজের জন্য গঙ্গা পেরিয়ে যেতে হয় প্রায় 30 কিলোমিটার দূরে । নদিয়ার রানাঘাট লোকসভা বা বিধানসভার ভোট গণনা এই এলাকা দিয়ে শুরু হলেও সুযোগ সুবিধায় সবার পিছনেই রয়ে যায় মানিকনগর ৷
আরও পড়ুন : purulia village : নাম ভূল, বানানও ভুল ! পুরুলিয়ার এই গ্রামের নাম 'ভূল'
যেখানে কোনও কাজে বিডিও অফিস যেতে হলে সকালে বেরিয়ে রাতে ফিরতে হয়, সেখানে ভ্যাকসিন পৌঁছানো তো অনেক দূরের কথা ৷ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মেলে না কোনও সরকারি সুবিধা ৷
পঞ্চায়েত সদস্য থেকে আশাকর্মী সকলেই স্বীকার করেন গ্রামের এই সমস্যার কথা ৷ এছাড়াও স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা কোনও কিছুতেই উন্নয়ন হয়নি ৷ গ্রামে দুটি প্রাইমারি স্কুল থাকলেও কোনও হাই স্কুল নেই । কাছাকাছি নেই কোনও হাসপাতালও ৷ একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও তাতে ডাক্তারের দেখা মেলে কদাচিৎ ৷
গ্রামের মানুষকে হাসপাতালে যেতে গেলে হয় নবদ্বীপ কিংবা কালনা ভরসা ৷ তাতে রাস্তার সমস্যা তো আছেই । গ্রামের পঞ্চায়েতের সদস্যর দাবি, আমরা পঞ্চায়েত থেকে ওপর মহলে জানিয়েছি কিন্তু তাও কোনও ব্যবস্থা হয়নি ।
আরও পড়ুন : গ্রাম থেকে বেরোনোর রাস্তা নেই ! বিচ্ছিন্ন দ্বীপ শ্যামপুর
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নদিয়ার থেকে যেহেতু বর্ধমান কাছে তাই সরকার যদি এই গ্রামটি বর্ধমানের সঙ্গে যুক্ত করে তবে খুব উপকার হয় ।
এ বিষয়ে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানান, সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য যেহেতু বর্ধমান জেলায় যেতে হয় বাসিন্দাদের, সেহেতু প্রশাসনিক ভাবে নদিয়া থেকে আলাদা করে যাতে রাজ্য সরকার অঞ্চলটিকে বর্ধমানে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করে, তা দেখা হবে ।