হাঁসখালি, 28 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সাংসদের কাজের খতিয়ান চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুধবার রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার সেই খতিয়ান দিলেনও ৷ সেই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাথা খারাপ’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি ৷ সাংসদের দাবি, কয়লা ও বালিচুরির মামলা থেকে বাঁচতে খালি হাইকোর্ট আর সুপ্রিম কোর্টে যেতে গিয়ে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে অভিষেকের ৷ তাই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের উন্নয়ন তাঁর নজরে আসছে না ৷
জগন্নাথ সরকার এদিন নিজের কাজের খতিয়ান দিয়ে জানান, নদিয়াতে কৃষক রেল হাওয়ায় চলে আসেনি ৷ রেলমন্ত্রী ও রেলবোর্ডের সঙ্গে কথা বলেই কৃষক রেল এসেছে ৷ এমনকী রানাঘাটে 2 হাজার স্ট্রিটলাইট লাগানো হয়েছে ৷ জগন্নাথ সরকার জানান, শক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেই সেগুলি এসেছে ৷ আর তার জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে ? সেই হিসেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন রাখেননি বলেই মন্তব্য করেন জগন্নাথ সরকার ৷ অন্যদিকে, কয়েকবছর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি নিজে নদিয়া জেলায় এসেছিলেন ৷ তাঁর সেই পরিদর্শনের পর নদিয়ায় 60 কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ৷ যা শেষ হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন রানাঘাটের সাংসদ ৷
মোটের উপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে নিজের কাজের দীর্ঘ খতিয়ান তুলে ধরেন জগন্নাথ সরকার ৷ উল্লেখ্য়, গতকাল অভিষেক হাঁসখালির জনসভা থেকে জগন্নাথ সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘4 বছর আগে রানাঘাট কেন্দ্রের মানুষ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জগন্নাথ সরকারকে জিতিয়েছিল ৷ এই 4 বছরে তিনি কোনও উন্নয়ন করেননি ৷ রানাঘাটবাসীর জন্য কোন মন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন ? এমন তথ্য কেউ যদি দিতে পারে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি আমি জীবনে আর রানাঘাটে পা রাখব না ৷’’
আরও পড়ুন: বিজেপি বলছে মন্দিরে যেতে অ্যাপয়নমেন্ট নিতে হবে, ঠাকুরবাড়ির ঘটনা নিয়ে মন্তব্য অভিষেকের
তবে, শুধু কাজের খতিয়ান দিয়েই থামেননি জগন্নাথ সরকার ৷ অভিষেককে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘আমি অভিষেকের মত বড় বড় বাতেলা মারি না ৷ কয়লা চুরি ও বালি চুরির তদন্ত থেকে বাঁচতে হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টে যেতে যেতে মাথা রাখাপ হয়ে গিয়েছে ৷ তাই নদিয়া ও রানাঘাটের উন্নয়ন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে পড়ে না ৷’’