হাঁসখালি, 11 এপ্রিল : হাঁসখালি নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে শ্মশানকর্মী ও কোয়াক ডাক্তারকে আদালতে পাঠাল পুলিশ । জানা যায়, সোমবার রাতে নাবালিকাকে ধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় কোয়াক ডাক্তার অসিতকুমার বিশ্বাসের কাছে ওষুধ আনতে যান ওই নাবালিকার পরিবার । পরে নাবালিকার মৃত্যু হলে অভিযুক্তরা শ্মশানে দাহ করে দেয় । সেই শ্মশানকর্মী করুণা বাউলি ও কোয়াক ডাক্তার অসিতকুমার বিশ্বাসকে পুলিশে আদালতে পাঠায় গোপন জবানবন্দির জন্য।
আরও পড়ুন: Hanskhali Rape : "আমি কিছু জানি না", দাবি ধর্ষণে অভিযুক্ত সোহেলের
গত 5 তারিখে নদিয়ার হাঁসখালি থানায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে (Hanskhali Rape) । অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গোয়ালীর ছেলে সোহেল গোয়ালীর বিরুদ্ধে । তীব্র যন্ত্রণায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয় । এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে বলপূর্বক শ্মশানে দাহ করে দেওয়া হয় । প্রমাণ লোপাট করতে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয় । এরপর দুইদিন আগে নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে হাঁসখালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালী গ্রেফতার হয় ।
ওই রাতে এক কোয়াক ডাক্তারের কাছে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন ওই নাবালিকার পরিবার ৷ এদিন সেই ডাক্তারের গোপন জবানবন্দির জন্য থানায় নিয়ে আসা হয় । এর পাশাপাশি ওই এলাকার যে শ্মশানে ওই নাবালিকাকে দাহ করা হয়, সেই শ্মশানের এক মহিলা কর্মীকেও গোপন জবানবন্দি জন্য হাঁসখালীিথানায় নিয়ে আসা হয়। পরে পুলিশ তাঁদের দু'জনকেই রানাঘাট মহকুমা আদালতে পাঠায় ।