শান্তিপুর, 13 জুলাই: দল বদলে তৃণমূলে আসতেই নিরাপত্তার আশ্বাস দিল পুলিশ ! ভোট মিটলেও তৃণমূলের অত্যাচারে বাড়িতে থাকতে পারছিলেন না সিপিএমের জয়ী প্রার্থী, অভিযোগ ছিল এমনই ৷ যদিও দল বদলে তার সমাধান করলেন বাম প্রার্থী ৷ জানা গিয়েছে, তৃণমূলে যোগদান করার পরই প্রশাসনের তরফে বাড়ি ফেরানোর আশ্বাস পেয়েছেন ওই সিপিএম প্রার্থী আবদুল শেখ ৷
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই অশান্তি ছড়িয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৷ যা অব্য়াহত গণনার পরও ৷ এবার জয়ী হয়েও ভয়ে দলবদল করলেন বাম প্রার্থী ৷ জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুর থানার গয়েশপুর টেংরিডাঙ্গা এলাকা থেকে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন আবদুল শেখ। সেখানে তিনি জয়লাভও করেন। অভিযোগ, সিপিএম প্রার্থীর জয় লাভের পরই প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান সদলবলে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় । সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর-সহ লাগাতার প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে ৷ ঘটনাচক্রে, এরপরেই জয়ী ওই বাম প্রার্থী শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর হাত ধরে তৃণমূলের যোগদান করেন। আবদুল শেখ এই দলবদলে বাধ্য হয়েছেন বলেই দাবি সিপিএম নেতৃত্বের ৷ এমনকি বৃহস্পতিবার আবদুল শেখ বলেন, "আমি জয়লাভ করার পর থেকেই ওই এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান হেরে যাওয়ার কারণে আমার বাড়ির উপর গিয়ে অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছিল । আমি বাড়িতে নিরাপদে থাকতে পারছিলাম না। অবশেষে বাধ্য হয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছি।"
ওই সিপিএম প্রার্থীর আরও অভিযোগ, তৃণমূলে যোগদান করার পরই তিনি সরাসরি শান্তিপুর থানায় চলে আসেন। অভিযোগও দায়ের করেন ৷ জয়ী সিপিএম প্রার্থীর দাবি, তৃণমূলে যোগদান করার পরই প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে নিরাপত্তার সবরকম আশ্বাস এবং বাড়ি ফেরানোর আশ্বাসও দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। প্রশাসনের এই ভূমিকা নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা ৷
যদিও সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল ৷ তাদের পালটা দাবি, রাজ্য সরকারের উন্নয়ন দেখেই সকলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ৷ শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, "তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়ন দেখে অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করছেন। ঠিক সেই রকম গয়েশপুরের এই সিপিএম প্রার্থী উন্নয়নের সামিল হতে তৃণমূলে যোগদান করলেন।"
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে দলের দায়িত্ব ছাড়তে চাইলেন আরাবুল, 'তাজা নেতা'র কথায় জল্পনা
উল্লেখ্য, গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা 21টি রয়েছে। তার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে 10টি আসন। আর তৃণমূল পেয়েছে নয়টি আসন। পাশাপাশি সিপিএমের আসন সংখ্যা ছিল একটি এবং অন্যান্যদের ঝুলিতে গিয়েছে একটি আসন।