ETV Bharat / state

Santipur Ration Card case : নিজেদের জীবিত প্রমাণে প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়ছেন দুই ‘মৃত’ - নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে প্রশাসনের দ্বারস্থ দুই মৃত

নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে হন্যে হয়ে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে দুই 2 'মৃত'কে (two persons who are dead according to ration card is finding it difficult to prove themselves alive)। অবাক করা এই ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার প্রফুল্ল নগর এলাকায় । জীবিত থাকা সত্ত্বেও সরকারি খাতায় কলমে মৃত ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে এলাকার বাসিন্দা কৌশিক সরকার এবং তাঁর মা রঞ্জিতা সরকারকে ।

Santipur Ration Card case
নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে প্রশাসনের দ্বারস্থ দুই মৃত
author img

By

Published : Dec 14, 2021, 5:58 PM IST

Updated : Dec 14, 2021, 8:27 PM IST

নদীয়া, 14 ডিসেম্বর : রবি ঠাকুরের গল্পে কাদম্বিনী মরেই প্রমাণ করেছিল ‘সে মরে নাই’ ৷ বইয়ের পাতার সেই গল্পই এবার উঠে এল বাস্তবে ৷ নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে হন্যে হয়ে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে দুই 'মৃত'কে (two persons who are dead according to ration card is finding it difficult to prove themselves alive)। অবাক করা এই ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার প্রফুল্ল নগর এলাকায় । রবি ঠাকুরের গল্পে কাদম্বিনীকে আত্মীয় পরিজনের কাছে প্রমাণ করতে হয়েছিল সে জীবিত ৷ আর এক্ষেত্রে সরকারের কাছে নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রফুল্ল নগর এলাকার বাসিন্দা কৌশিক সরকার এবং তাঁর মা রঞ্জিতা সরকারকে ।

খবর অনুযায়ী, এক মাস আগে রেশনের জিনিসপত্র আনতে ডিলারের কাছে যান কৌশিক । কিন্তু ডিলারের তরফ থেকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয় রেশন কার্ড অনুযায়ী তাঁরা দুজনেই মৃত । মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মা এবং ছেলের ৷ জীবিত থাকতেও কিভাবে সরকারি খাতায় তাঁরা মৃত হয়ে গেলেন, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা ৷

নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে হন্যে হয়ে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে দুই 'মৃত'কে

আরও পড়ুন : পালকিতে বউ নয়, রোগী যাচ্ছে হাসপাতালে

এরপরেই খাদ্য দফতর থেকে শুরু করে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অবধি সকলকেই লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয় । কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি, ফলত সরকারি খাতায় কলমে এখনও দুজনেই 'মৃত' ৷ তাঁদের দাবি, এই কারণে প্রাপ্য রেশনের অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে । শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রেও অসুবিধার শেষ নেই । যদিও এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি শান্তিপুর ব্লকের খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা ।

নদীয়া, 14 ডিসেম্বর : রবি ঠাকুরের গল্পে কাদম্বিনী মরেই প্রমাণ করেছিল ‘সে মরে নাই’ ৷ বইয়ের পাতার সেই গল্পই এবার উঠে এল বাস্তবে ৷ নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে হন্যে হয়ে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে দুই 'মৃত'কে (two persons who are dead according to ration card is finding it difficult to prove themselves alive)। অবাক করা এই ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার প্রফুল্ল নগর এলাকায় । রবি ঠাকুরের গল্পে কাদম্বিনীকে আত্মীয় পরিজনের কাছে প্রমাণ করতে হয়েছিল সে জীবিত ৷ আর এক্ষেত্রে সরকারের কাছে নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রফুল্ল নগর এলাকার বাসিন্দা কৌশিক সরকার এবং তাঁর মা রঞ্জিতা সরকারকে ।

খবর অনুযায়ী, এক মাস আগে রেশনের জিনিসপত্র আনতে ডিলারের কাছে যান কৌশিক । কিন্তু ডিলারের তরফ থেকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয় রেশন কার্ড অনুযায়ী তাঁরা দুজনেই মৃত । মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মা এবং ছেলের ৷ জীবিত থাকতেও কিভাবে সরকারি খাতায় তাঁরা মৃত হয়ে গেলেন, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা ৷

নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে হন্যে হয়ে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে দুই 'মৃত'কে

আরও পড়ুন : পালকিতে বউ নয়, রোগী যাচ্ছে হাসপাতালে

এরপরেই খাদ্য দফতর থেকে শুরু করে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অবধি সকলকেই লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয় । কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি, ফলত সরকারি খাতায় কলমে এখনও দুজনেই 'মৃত' ৷ তাঁদের দাবি, এই কারণে প্রাপ্য রেশনের অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে । শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রেও অসুবিধার শেষ নেই । যদিও এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি শান্তিপুর ব্লকের খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা ।

Last Updated : Dec 14, 2021, 8:27 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.