কৃষ্ণগঞ্জ(নদিয়া), 11 সেপ্টেম্বর: এখন দুর্মূল্যের বাজার ৷ ইচ্ছে থাকলেও দোকান থেকে কিছু কিনে খেতে দু'বার ভাবতে হয় ৷ কারণ সবকিছুর দামই যে তরতর করে বাড়ছে ৷ সেখানে এই বাজারেও কেবল 1 টাকায় মিলছে সিঙাড়া, ভাবতে পারেন ৷ না না মজা নয়, এটাই সত্যি ৷ এমনকী অন্য রাজ্য নয়, বরং বাংলার বুকেই 1 টাকা দিলেই আপনি পেয়ে যাবেন সিঙাড়া ৷ তবে তার জন্য আপানাকে আসতে হবে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে ৷ এখানে 50 বছর ধরে সিঙাড়া তৈরি করছেন বছর 88-এর গোপালচন্দ্র রায় ৷
ভাবছেন কোথায় এই দোকান ? কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস মন্দিরের কাছে এলেই দেখা মিলবে 50 বছরের পুরনো এই সিঙাড়া দোকানের । যেহেতু শিবনিবাস মন্দির বহু প্রাচীন এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ এখানে প্রতিষ্ঠিত, তাই মন্দির চত্ত্বরে কোনওরকম আমিষ খাবার বিক্রির প্রচলন নেই । তাই নিরামিষভাবে এখানে তৈরি হয় এই সিঙাড়া । যার নাম ডাক এতই যে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসে এই সিঙাড়া একবার হলেও চেখে দেখতে ৷
তবে আগে এই সিঙাড়া মিলত 40 থেকে 50 পয়সায় ৷ এখন সময় ও পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় দামটা বেড়ে 1 টাকা হয়েছে ৷ তবে তাতে বিক্রিতে ভাঁটা পরেনি ৷ প্রতিদিন আট থেকে আশি সবাই মুখিয়ে থাকে 88-বছরের বৃদ্ধের হাতের সিঙাড়া খাওয়ার জন্য ৷ গোপালচন্দ্র রায়ের কথায়, যতদিন তিনি বাঁচবেন ততদিনই এই সিঙাড়া এক টাকাতেই বিক্রি করে যাবেন । তিনি বলেন, "আগে এই সিঙাড়া 40 থেকে 50 পয়সায় বিক্রি করতাম ৷ তবে এখন এক টাকায় বিক্রি করি ৷ সিঙাড়ার খুব চাহিদা রয়েছে ৷ লাভ বিক্রির উপরে ৷ বিক্রির পরিমাণ বেশি হলে লাভ বেশিই হয় । তাই এখন এক টাকায় বিক্রি করেও লাভ থাকে ৷"
আরও পড়ুন: ব্রিটেনে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ছে চা ও সিঙারার
জানা গিয়েছে, গোপালচন্দ্র রায়ের হাতেই গড়া তাঁর এই দোকান ৷ তিনি প্রথম থেকেই এই দোকান চালিয়ে আসছেন ৷ এই বয়সে এসেও তাঁর কাজে কোনও অনীহা নেই ৷ দক্ষ হাতে পরিশ্রম করে রোজ বানিয়ে চলেছেন সিঙাড়া ৷ ক্রেতা অর্জুন দাস ও তণ্ময় চক্রবর্তীরা জানাচ্ছেন, এই দোকানের সিঙাড়া খুবই সুস্বাদু এবং দীর্ঘ 50 বছর ধরে খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে তিনি সিঙাড়া তৈরি করছেন ৷