কৃষ্ণগঞ্জ, 20 মে: কার্গিল যুদ্ধে এক ছেলে শহিদ হয়েছেন । আরও দুই ছেলে রয়েছে । তাঁদের মধ্যে এক ছেলে সরকারি চাকরিজীবী । কিন্তু অভিযোগ, এখন আর বাড়িতে ঠাঁই পান না অসহায় বৃদ্ধা। অগত্যা অন্যের বাড়িতে দিন কাটাতে হয় 75 বছরের বৃদ্ধাকে । নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা ।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভাজনঘাট নোনাগঞ্জের বাসিন্দা অমলা ঘোষ । বয়স 75 বছর । তিন সন্তান । বড় ছেলে চাষবাসের কাজ করেন । মেজো ছেলে সরকারি চাকরি করেন । ছোটো ছেলে ছিলেন দেশের সেনা জওয়ান। কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হন । এরপর কয়েক বছর দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতেই থাকতেন তিনি । কিন্তু প্রায় এক বছর হল আর বাড়িতে ঠাঁই পান না তিনি । অভিযোগ, ছেলেরা ঠিকমতো যত্ন নেন না মায়ের । মায়ের দেখাশোনা নিয়ে চলে গা-ঠেলাঠেলি ।
ছোটো ছেলের পেনশনের যে টাকা বৃদ্ধা পান সেটাও দুই ছেলে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। অবশেষে বাধ্য হয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশী বাবু চক্রবর্তীর বাড়িতে রয়েছেন তিনি । বাবু চক্রবর্তী বলেন, "অমলাদেবী অসহায় হয়ে আমাকে বাড়িতে ঠাঁই দেওয়ার কথা বলেছিলেন । আমি তাঁকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছি ।" অমলাদেবী বলেন, "আমার ছেলের যেটুকু পেনশন পাই তাই দিয়েই বেঁচে রয়েছি ।"
যদিও মায়ের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুই ছেলে । তাঁদের দাবি, মা নিজেই এই বাড়িতে থাকতে চান না ।