মায়াপুর, 23 ফেব্রুয়ারি: শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর 537তম আবির্ভাব উৎসব উপলক্ষে ইসকন মায়াপুরের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে নবদ্বীপ পরিক্রমা (Occasion of Chaitanya Mahaprabhu Advent day)। বিশ্বের প্রায় 100টি দেশ থেকে 5 হাজার বিদেশি ভক্ত উপস্থিত হয়েছেন এই পরিক্রমা উপলক্ষে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটেছে ইসকন মায়াপুরে। প্রতিবছরই মহাপ্রভুর এই আবির্ভাব তিথিতে বিভিন্ন দেশের ভক্তের সমাগমে পালন হয় এই পরিক্রমা উৎসবে। তবে গত কয়েক বছর করোনার কারণে সেভাবে ভক্তদের সমাগম ঘটেনি।
করোনাবিধির মধ্যে দিয়েই গত কয়েকবছর পালিত হয়েছিল মহাপ্রভুর আবির্ভাব উৎসব। কিন্তু এবছর মহাধুমধামের সঙ্গে পালিত হচ্ছে এই উৎসব। মূলত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতি বিজড়িত ন'টি স্থানে পরিক্রমা করবেন তাঁর ভক্তরা। সাতটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা পরিক্রমা শুরু করবেন। কখনও নৌকোয় আবার কখনও বাসে করে যে সমস্ত জায়গায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সশরীরে গিয়েছিলেন অর্থাৎ এখনও যে সকল স্থান মহাপ্রভুর স্মৃতি বহন করে, সেই সমস্ত জায়গায় পরিক্রমা করবেন এই সাতটি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
তাঁরা আলাদা আলাদা ভাগ হয়ে সাতদিনে শহরের বিভিন্ন স্থান পরিক্রমা করে পুনরায় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে ফিরে আসবেন। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু মানুষকে যেভাবে ভালোবাসতেন, তার পাশাপাশি অচণ্ডালে তিনি যেভাবে হরিনাম করেছিলেন এবং তাঁর বাণী মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। মূলত সেই লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে নবদ্বীপ পরিক্রমা। ইতিমধ্যেই এই পরিক্রমা উপলক্ষে মায়াপুর ইসকন মন্দির সেজে উঠেছে। লক্ষ লক্ষ ভক্তদের ভিড় জমেছে স্ক্যোয়ার মন্দিরে।
আরও পড়ুন: শুরু দ্বীপদান পর্ব, ভক্তদের প্রদীপের আলোয় আলোকিত মায়াপুর ইসকন
এবিষয়ে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, "এটি মহাপ্রভুর 537তম আবির্ভাব উৎসব। প্রতিবছরই লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে এখানে। তবে বিশ্বের 100টি দেশ থেকে ইতিমধ্যেই 5 হাজার জন বিদেশি ভক্ত অংশগ্রহণ করেছেন এই পরিক্রমায়। শুধু তাই নয় দেশ-বিদেশের কয়েক লক্ষ ভক্ত এই টানা একমাস ধরে চলা আবির্ভাব উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। আগামী 2 মার্চ শেষ হবে এই পরিক্রমা। আর 7 মার্চ মহাপ্রভুর আবির্ভাব দিবসের অভিষেক ঘটবে।" পাশাপাশি তিনি বলেন, "সমস্ত ভক্তরা পরিক্রমা করছেন এবং যে সমস্ত বিদেশি ভক্তরা ইসকন মায়াপুরে আসছেন তাঁদের জন্য আলাদা রকম ব্যবস্থা করেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় তাঁদের নিরাপত্তা দিকটাও যেন বজায় থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।"