শান্তিপুর, 18 এপ্রিল: রোগীকে প্রয়োজনে অজ্ঞান করার চিকিৎসক নেই তিন দিন ধরে ৷ জরুরি পরিস্থিতিতে প্রসূতি মায়েদের স্থানান্তরিত করতে হচ্ছে । শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এই অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে । বিশেষত স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রসূতি বিভাগকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় ৷
এদিকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে অন্য চিত্র ধরা পড়ল ৷ এখানে সপ্তাহে তিনদিন রোগীকে অজ্ঞান করা চিকিৎসক অর্থাৎ অ্যানাস্থেশিয়ার চিকিৎসক থাকেন না ৷ তাই এই তিনদিন বন্ধ থাকছে সিজার ৷ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সন্তানসম্ভবা গর্ভবতী মহিলাদের স্থানান্তরিত করা হচ্ছে অন্য হাসপাতালে ৷ জরুরি অবস্থায় স্থানান্তর করার ফলে গর্ভবতী মহিলার যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে এর দায় কে নেবে ? সেই প্রশ্নই এখন সামনে এসেছে ৷
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার হাসপাতালে এখন অপারেশনের সুবিধা রয়েছে ৷ অর্থাৎ, জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করাতে পারবেন ৷ শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং স্বাস্থ্য দফতরের তরফে হাসপাতাল চত্বরে পরিষ্কার লেখা রয়েছে 24 ঘণ্টা সিজারের পরিষেবা রয়েছে ৷ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রোগীকে অজ্ঞান করার ডাক্তার না-থাকায় দুর্ভোগে রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা ৷
তবে অসুবিধের কথা মেনে নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি চিকিৎসক পবিত্র ব্যাপারী বলেন, "অজ্ঞান করার চিকিৎসক সপ্তাহে তিন দিন থাকছেন না ৷ এতে শান্তিপুর হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসকদের কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ তার কারণ, ওই তিন দিন চিকিৎসক না-থাকাকালীন প্রসূতিদের সিজারের প্রয়োজন হলে আমরা বাধ্য হয়ে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করি ৷ তবে স্বাস্থ্য দফতর চিন্তাভাবনা করছে ৷ খুব শিগগিরি চিকিৎসকের সমস্যার সমাধান হবে ৷"
এই প্রসঙ্গে শান্তিপুরের বাসিন্দা সুব্রত মৈত্র বলেন, "শান্তিপুরবাসীর একমাত্র ভরসার জায়গা এই স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ৷ বহু রোগীরা আসেন এখানে ৷ বিশেষত প্রসূতি বিভাগটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ৷ আর সেই বিভাগেই যদি রোগীকে অজ্ঞান করার ডাক্তার না-থাকে, তাহলে তা খুবই অসুবিধের ও ঝুঁকিপূর্ণ ৷"
আরও পড়ুন: রোগী ভরতির সময় পাখা আনবেন, পোস্টার ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে