নদিয়া, 28 অগস্ট: খুন হওয়া যুবকের মাথার অংশ পাওয়া পর দেহের সন্ধানে নামল পুলিশ (Police Solved the Murder of Youth) । প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নদিয়ার ধুবুলিয়া এলাকার মায়াকোলে বাড়ি বাবুসোনা ঘোষের (35) । কিছুদিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি ৷ পরিবারের লোকের অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর সন্ধান মেলেনি ৷ এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে ধুবুলিয়া থানায় তাঁর নামে নিখোঁজের ডায়েরি করে পরিবারের লোকেরা । এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই একই এলাকায় প্রহ্লাদ ঘোষের স্ত্রী নমিতা ঘোষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বাবুসোনার ৷ নিখোঁজ হওয়ার দিন নমিতা তাঁকে স্বামীর কথায় ডাকে ৷ এরপর প্রহ্লাদ ঘোষ তার বন্ধু শংকর ঘোষ ও প্রসেনজিৎ ঘোষকে নিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার একটি কলাবাগানে নিয়ে আসে এবং সেখানে তাঁর গলা কেটে প্রথমে নদীতে ভাসিয়ে দেয় এবং তাঁর মাথা আলাদা করে মাটিতে পুঁতে দেয় । শুক্রবার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্র মারফত খবর পায় তারপর ওই যুবকের মাথার বেশ কিছু অংশ উদ্ধার করে ৷ এরপর শনিবার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায় ।
আরও পড়ুন: পরপর ধারালো অস্ত্রের কোপ, হাওড়ায় ব্যবসায়ী খুনে চাঞ্চল্য
ধুবুলিয়া থানার পুলিশ নমিতার স্বামী প্রহ্লাদ ঘোষকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে ৷ পরে কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায় একটি ইটভাটা সংলগ্ন কলাবাগানে নিয়ে আসে তাদের দু'জনকে ৷ সেখানেই তারা দেখিয়ে দেয় কীভাবে তারা বাবুসোনাকে খুন করেছে ।
আরও পড়ুন: প্রেমের পর্দাফাঁস, স্বামীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রেমিককে খুন স্ত্রীর
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জ থানার বীরপুর পাড়া এলাকায় বাড়ি শংকর ঘোষের, ভীমপুর থানার ডহর পোঁতা এলাকায় বাড়ি প্রসেনজিৎ ঘোষের ৷ ধুবুলিয়া থানা এলাকায় প্রহ্লাদ ঘোষের বাড়ি । পুলিশ ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ।