হাতিশালা (নদিয়া), 8 জুলাই: মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্যের একাধিক জেলা । উত্তর থেকে দক্ষিণ মৃত্যুমিছিল দেখা গিয়েছিল সেই সময় থেকেই । সেই ছবির কোনও বদল হল না ভোটের দিনও । সকাল থেকে ভোটের শেষ সময় পর্যন্ত কমপক্ষে 15 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর । এমনই আবহে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে । প্রায় পাঁচ রাউন্ড গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান চালিয়েছেন বলে অভিযোগ । উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভা ভোটে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় একজনের । এ বার পঞ্চায়েত ভোটেও গুলি চালাল কেন্দ্রীয় বাহিনী ।
শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার দিকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিশালা এলাকা । ব্যালট বাক্স নিয়েও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে দু'পক্ষই । সেখানে মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী । অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের দুষ্কৃতীদের হাত থেকে প্রাণ রক্ষার জন্য অবশেষে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ।
জানা গিয়েছে, হাতিশালা এলাকার তিন নম্বর বুথে সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রক্রিয়া চলছিল । কিন্তু অভিযোগ, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ তৃণমূলের প্রায় 20 জন দুষ্কৃতী বুথ এলাকায় জড়ো হয় । এরপরই শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি । এলাকাবাসীদের দাবি, গুলি, বোমা ছুড়তে ছুড়তে ওই দুষ্কৃতীরা বুথের দিকে এগিয়ে আসে । এলাকার আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং বুথ দখলের উদ্দেশ্য নিয়ে এই বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ? গাড়ির কিছু সমস্যা হয়েছিল, সাফাই রাজীবার
স্থানীয় সূত্রের দাবি, বোমাবাজি করতে করতে যখন প্রায় বুথের কাছে চলে আসে দুষ্কৃতীরা, তখনই তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ও নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা শূন্যে প্রায় পাঁচ রাউন্ড গুলি চালান । এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় ওই দুষ্কৃতীরা । এলাকার এক ভোট কর্মী সমরনাথ মণ্ডল বলেন, "প্রায় দুই হাজার ভোটার তখন এই বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন । ঠিক সেই সময় বোমাবাজি করে ওই দুষ্কৃতীরা । সকাল থেকে ভালোভাবেই ভোট হচ্ছিল এখানে । কিন্তু ভোট লুঠ করার জন্যই এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা । অবশেষে বাধ্য হয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে ।"