নদিয়া, 30 এপ্রিল : নদিয়ার গাংনাপুর থানার খাগড়া ডাঙ্গা গ্রামের কবরস্থান থেকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে মৃত গৃহবধূর দেহ কবর খুঁড়ে তোলা হল (Nadia Death Case)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সেই দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল আরজিকর হাসপাতালে।
গত 6 মার্চ গাংনাপুর থানার কামারবেরিয়া গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ ৷ গণধর্ষণের পর দুষ্কৃতীরা তাঁর মুখে ঘাস মারার বিষ ঢেলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রহমান ক্লিনিকে তাঁর বেশ কিছুদিন চিকিৎসা হয় ৷ এরপর কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত 14 মার্চ গৃহবধূর মৃত্যু হয়। বিষক্রিয়ার মৃত্যুর অভিযোগের ভিত্তিতে 15 মার্চ গৃহবধূর প্রথমবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। এরপর বাড়ির পাশের কবরস্থানে ওই গৃহবধূর দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরে ওই গৃহবধূর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট ওই দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন : হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডে উদ্ধার হওয়া রক্তমাখা চাদর, জামা-কাপড় পাঠানো হল ফরেনসিক তদন্তে
পুলিশের পক্ষ থেকে কবর খুঁড়ে দেহ তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু আপত্তি জানিয়েছিলেন ওই গৃহবধূর মা। এরপর সবার সঙ্গে কথা বলার পরে মৃতদেহটি কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার আরজিকর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হল। কবর খোঁড়ার সময় উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট বাগচি, তদন্তকারী অফিসার, ডেপুটি পুলিশ সুপার, ডিআইবি শিমুল সরকার এবং ওই গৃহবধূর পরিবারের পক্ষের আইনজীবী বাবলু চক্রবর্তী ।