কৃষ্ণগঞ্জ, 15 জুন : স্যালোঁতে চুল-দাড়ি কাটতে গেলে প্রথমেই নথিভুক্ত করতে হবে নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা ও স্বাক্ষর । এমনই অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার বিশ্বজিৎ প্রামাণিক । কৃষ্ণগঞ্জ থানার অন্তর্গত কৃষ্ণগঞ্জ বাজার এলাকাতে তাঁর একটি স্যালোঁ রয়েছে । সেখানে যাঁরা চুল-দাড়ি কাটাতে আসছেন, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করে রাখছেন তিনি ।
বিশ্বজিৎবাবুর বক্তব্য, যদি কোরোনা সংক্রমণ ঘটে তবে দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারবেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা । স্বাস্থ্য দপ্তরকে কারা কারা ওই স্যালোঁতে এসেছিলেন তা জানাতে সুবিধা হবে । শুধু নাম নথিভুক্ত, ফোন নম্বর নয়, ঠিকানা ও স্বাক্ষরও নথিভুক্ত করে মেনে চলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বিধি । স্যালোঁতে ঢোকার মুখে প্রত্যেককেই দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজ়ার ।
কোরোনা সংক্রমণ রুখতে দেশের প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মার্চ মাসের শেষে । কোরোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লকডাউনের মেয়াদও বেড়েছিল । দীর্ঘ 70 দিনের লকডাউনে বন্ধ ছিল দোকান । তারপর লকডাউন শিথিল করলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে । সেই আয়তায় রয়েছে স্যালোঁ ।
সেই মত বিভিন্ন স্থানে খুলেছে স্যালোঁ । বিশ্বজিৎবাবু তাঁর স্যালোঁতে আসা ব্যক্তিদের নাম, ফোন নম্বর ও স্বাক্ষর গ্রহণের প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, কোনও স্বাস্থ্যবিধিকে অগ্রাহ্য করা হয়নি । সচেতনতার বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ ৷ বিশ্বজিৎবাবু বলেন, যদি কখনও তাঁর স্যালোঁ থেকে কোরোনা সংক্রমণের খবর আসে তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগকে দ্রুত সহযোগিতা করা যাবে নামের তালিকা দিয়ে । যার ফলে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হবে ।