ETV Bharat / state

Durga Puja 2023: রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজবাড়ীর দুর্গাপুজোয় নবমীতে দেওয়া হয় মাছ ও পান্তা ভাতের ভোগ - Durga Puja

প্রথমে হত বাসন্তী পূজা, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে শুরু হয় লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও স্বরস্বতীর পুজো । অষ্টমীতে আটটি ভাজা দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হবে । আর নবমীতে দেওয়া হয় মাছ ও পান্তা ভাতের ভোগ । সাড়ে ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য মেনেই ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজবাড়ির দুর্গাপুজো।

Durga Puja 2023 News
সাড়ে 400 বছরের পুরনো পুজো পালিত হচ্ছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজবাড়ীর দুর্গাপুজো
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 22, 2023, 9:13 PM IST

কৃষ্ণনগর, 22 অক্টোবর: সাড়ে 400 বছরের পুরনো ঐতিহ্যেই ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রথমে চলত বাসন্তী পূজা ৷ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে শুরু হয় লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও স্বরস্বতীর পুজো। অষ্টমীতে আটটি ভাজা দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হয় । আর নবমীতে দেওয়া হয় মাছ ও পান্তা ভাতের ভোগ ।

শুধুমাত্র কৃষ্ণনগর নয়, গোটা জেলা এবং রাজ্য থেকে ভক্তরা আসেন এই পুজো দর্শন করতে এবং অঞ্জলি দিতে । সেই রীতি আস্তে আস্তে গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে যায় । জানা গিয়েছে, যখন এদেশে ইংরেজরা প্রবেশ করেছে তখন চলত বাসন্তী পূজো । কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বাড়িতে দেবী রাজরাজশ্রী নামে মহামায়া রূপে পূজিত হন । এই ভাবেই চারশো বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই রাজবাড়ির দুর্গাপুজো ৷

আরও পড়ুন: জুটিতে লুটি! অষ্টমীর অঞ্জলিতেও শোভনের শরতে বৈশাখী বাতাস

মহালয়া থেকে শুরু হয় হোম যজ্ঞ । টানা দশমী পর্যন্ত জ্বলে এই হোমের আগুন । সপ্তমীতে সাতটি ভাজা দিয়ে মায়ের সামনে ভোগ দেওয়া হয় । ঠিক সেই রকম অষ্টমীতেও আট রকম ভাজা দিয়ে মাকে পুজো করা হয় । নবমীতে রীতি একটু ভিন্ন ৷ প্রাচীন রীতিনীতি মেনে মাকে এদিন পান্তা ভাত ও বিভিন্ন মাছের ভোগ দেওয়া হয়। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে । রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় প্রথম শুরু করেছিলেন এই দুর্গাপুজো ।

এই বিষয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বংশধর তথা গৃহবধূ অমৃতা রায় বলেন, "আমরা প্রাচীন রীতি বজায় রেখে এখনো পুজো করছি । তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়মের পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি । সাড়ে 400 বছরের সেই পুরনো রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন পদের ভাজা ও পান্তা ভাত এবং মাছের ভোগ দেওয়ার রীতি এখনও অটুট রয়েছে।"

আরও পড়ুন: অষ্টমীর অঞ্জলিতে শোভন-বৈশাখী, দেখুন দেবীবন্দনার রঙিন চিত্রপট

কৃষ্ণনগর, 22 অক্টোবর: সাড়ে 400 বছরের পুরনো ঐতিহ্যেই ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রথমে চলত বাসন্তী পূজা ৷ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে শুরু হয় লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও স্বরস্বতীর পুজো। অষ্টমীতে আটটি ভাজা দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হয় । আর নবমীতে দেওয়া হয় মাছ ও পান্তা ভাতের ভোগ ।

শুধুমাত্র কৃষ্ণনগর নয়, গোটা জেলা এবং রাজ্য থেকে ভক্তরা আসেন এই পুজো দর্শন করতে এবং অঞ্জলি দিতে । সেই রীতি আস্তে আস্তে গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে যায় । জানা গিয়েছে, যখন এদেশে ইংরেজরা প্রবেশ করেছে তখন চলত বাসন্তী পূজো । কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বাড়িতে দেবী রাজরাজশ্রী নামে মহামায়া রূপে পূজিত হন । এই ভাবেই চারশো বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই রাজবাড়ির দুর্গাপুজো ৷

আরও পড়ুন: জুটিতে লুটি! অষ্টমীর অঞ্জলিতেও শোভনের শরতে বৈশাখী বাতাস

মহালয়া থেকে শুরু হয় হোম যজ্ঞ । টানা দশমী পর্যন্ত জ্বলে এই হোমের আগুন । সপ্তমীতে সাতটি ভাজা দিয়ে মায়ের সামনে ভোগ দেওয়া হয় । ঠিক সেই রকম অষ্টমীতেও আট রকম ভাজা দিয়ে মাকে পুজো করা হয় । নবমীতে রীতি একটু ভিন্ন ৷ প্রাচীন রীতিনীতি মেনে মাকে এদিন পান্তা ভাত ও বিভিন্ন মাছের ভোগ দেওয়া হয়। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে । রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় প্রথম শুরু করেছিলেন এই দুর্গাপুজো ।

এই বিষয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বংশধর তথা গৃহবধূ অমৃতা রায় বলেন, "আমরা প্রাচীন রীতি বজায় রেখে এখনো পুজো করছি । তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়মের পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি । সাড়ে 400 বছরের সেই পুরনো রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন পদের ভাজা ও পান্তা ভাত এবং মাছের ভোগ দেওয়ার রীতি এখনও অটুট রয়েছে।"

আরও পড়ুন: অষ্টমীর অঞ্জলিতে শোভন-বৈশাখী, দেখুন দেবীবন্দনার রঙিন চিত্রপট

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.