কৃষ্ণনগর, 22 অক্টোবর: সাড়ে 400 বছরের পুরনো ঐতিহ্যেই ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রথমে চলত বাসন্তী পূজা ৷ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে শুরু হয় লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও স্বরস্বতীর পুজো। অষ্টমীতে আটটি ভাজা দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হয় । আর নবমীতে দেওয়া হয় মাছ ও পান্তা ভাতের ভোগ ।
শুধুমাত্র কৃষ্ণনগর নয়, গোটা জেলা এবং রাজ্য থেকে ভক্তরা আসেন এই পুজো দর্শন করতে এবং অঞ্জলি দিতে । সেই রীতি আস্তে আস্তে গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে যায় । জানা গিয়েছে, যখন এদেশে ইংরেজরা প্রবেশ করেছে তখন চলত বাসন্তী পূজো । কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বাড়িতে দেবী রাজরাজশ্রী নামে মহামায়া রূপে পূজিত হন । এই ভাবেই চারশো বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই রাজবাড়ির দুর্গাপুজো ৷
আরও পড়ুন: জুটিতে লুটি! অষ্টমীর অঞ্জলিতেও শোভনের শরতে বৈশাখী বাতাস
মহালয়া থেকে শুরু হয় হোম যজ্ঞ । টানা দশমী পর্যন্ত জ্বলে এই হোমের আগুন । সপ্তমীতে সাতটি ভাজা দিয়ে মায়ের সামনে ভোগ দেওয়া হয় । ঠিক সেই রকম অষ্টমীতেও আট রকম ভাজা দিয়ে মাকে পুজো করা হয় । নবমীতে রীতি একটু ভিন্ন ৷ প্রাচীন রীতিনীতি মেনে মাকে এদিন পান্তা ভাত ও বিভিন্ন মাছের ভোগ দেওয়া হয়। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে । রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় প্রথম শুরু করেছিলেন এই দুর্গাপুজো ।
এই বিষয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বংশধর তথা গৃহবধূ অমৃতা রায় বলেন, "আমরা প্রাচীন রীতি বজায় রেখে এখনো পুজো করছি । তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়মের পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি । সাড়ে 400 বছরের সেই পুরনো রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন পদের ভাজা ও পান্তা ভাত এবং মাছের ভোগ দেওয়ার রীতি এখনও অটুট রয়েছে।"
আরও পড়ুন: অষ্টমীর অঞ্জলিতে শোভন-বৈশাখী, দেখুন দেবীবন্দনার রঙিন চিত্রপট