নাকাশিপাড়া, 15 অগস্ট: কংগ্রেস কর্মীদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুরো পশ্চিমবঙ্গটা সন্ত্রাসে পরিণত হয়েছে ৷ তিন মাসের শিশু বাঁচে না ৷ পাঁচ মাসের শিশু বাঁচে না৷ মহিলাদের নিরাপত্তা নেই ।’’
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘সর্বত্র মানুষের উপরে এই নির্বিচারে আক্রমণ চলছে তৃণমূলের হার্মাদ ও পুলিশের যৌথ সমর্থনে । আমরা এই অরাজকতা সহ্য করব না ৷ পুলিশ যদি দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করব ।’’
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে নদিয়ার নাকাশিপাড়ার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করায় একাধিক রাজনৈতিক কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে । ঘটনায় একাধিক কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ ৷ গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে 17 জন ৷ এর মধ্যে তিন মাসের শিশু-সহ গুরুতর জখম হয় আরও দু’জন শিশু । আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ।
মঙ্গলবার আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কংগ্রেস অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ আহত কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি । পরে পুলিশ সুপারের অফিসে ডেপুটেশন জমা দিতে যান তিনি ৷ রাস্তাতেই পুলিশ আটকে দেওয়ায় সেখানেই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বহরমপুরের সাংসদ ৷
তাঁর দাবি, ভোটের আগে থেকে কংগ্রেসের নেতাদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে দলে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল । বোর্ড গঠনের পরেও কংগ্রেসের কর্মীদের উপর নৃশংসভাবে অত্যাচার শুরু করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা ৷ পুলিশ-প্রশাসন এতে মদত দিচ্ছে ৷ পুলিশ কেন দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি ৷ পাশাপাশি অধীর চৌধুরীর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো ।’’
আরও পড়ুন: নদিয়ায় গুলিবিদ্ধ একাধিক কংগ্রেস সমর্থক, জখম-তিন শিশু; কাঠগড়ায় তৃণমূল
যদিও পরবর্তীতে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয় । অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসের দিনে সকাল থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত নদীয়ার নাকাশিপাড়া ।