মায়াপুর, 28 অগস্ট: সকল নিয়মরীতি এবং আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মহাসমারোহে পালিত হল ইসকন মায়াপুরের ঝুলন উৎসব ৷ রবিবার শুরু হয়েছে ঝুলন যাত্রা ৷ আগামী পাঁচদিন অর্থাৎ, 31 অগস্ট পর্যন্ত চিরাচরিত প্রথা মেনে মায়াপুর ইসকনে ঝুলন উৎসব পালিত হবে ৷ ইসকন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ‘‘ইসকন মায়াপুরের ঝুলন উৎসব এ বছর 39 তম বর্ষে পড়েছে ৷ 31 অগস্টের পূর্ণিমাতিথি পর্যন্ত এটি চলবে ৷’’
এই পাঁচদিনের ঝুলন যাত্রায় প্রতিদিন রাধাকৃষ্ণের আরাধনার পাশাপাশি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ৷ রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান এবারের পূর্ণিমা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ৷ ওইদিন রাখিবন্ধনের পাশাপাশি প্রভু বলরাম জয়ন্তী হিসেবেও পালিত হবে ৷ প্রতিদিন বিকেল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ইসকন মায়াপুরের গোয়ালের পাশে এই ঝুলন উৎসবে সব আয়োজন করা হয়েছে ৷ এবারেও রাধাকৃষ্ণকে দোলনায় বসিয়ে রথে করে ঝুলন উৎসবের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বিকেল পাঁচটায় চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে নাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে ইসকনের গোয়ালের পাশে ঝুলন যাত্রার মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয় রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ ৷
আরও পড়ুন: জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রায় সেবায় ছাপান্ন ভোগ মায়াপুরের ইসকনে, পাতে পড়ছে পিৎজা-বার্গার
ঝুলনযাত্রার এই পাঁচদিনই রাধাকৃষ্ণকে রথে চাপিয়ে ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ রাতে উৎসব শেষে ফের মূল মন্দিরে ফিরে যাবে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি ৷ ঝুলন যাত্রার বৈশিষ্ট্য হল, মানুষের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসার প্রতীক ৷ মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের বাল্য পর্বের সঙ্গে এই ঝুলন উৎসব জড়িত ৷ মনুষ্য সমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা ও সৌজন্যের ব্রত হিসেবে এই ঝুলন উৎসব পালিত হয় ৷ পবিত্র এই উৎসব উপলক্ষে প্রচুর মানুষ এই পাঁচদিন মায়াপুর ইসকনে ভিড় করেন ৷ শুধু এই রাজ্য নয় ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকি বিদেশ থেকেও পর্যটকরা ঝুলন উৎসবে সামিল হন ৷