ETV Bharat / state

তোলাবাজি নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল, এলোপাথাড়ি অস্ত্রের কোপ, গুলি - নদিয়া শান্তিপুর থানা

শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার শান্তিপুর ৷ এই পৌরসভার 23 নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ পাড়া এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় ৷ এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা সাকিবুল হোসেন এবং কারিগরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।

clashes between two group
শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল
author img

By

Published : Jul 24, 2020, 3:15 AM IST

নদিয়া,23 জুলাই:তোলাবাজি নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দল শাসকদলের। গভীর রাতে কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি অস্ত্রের কোপ, সেইসঙ্গে চলল গুলি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া শান্তিপুর থানা এলাকায়। সূত্রের খবর, নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার 23 নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ পাড়া এলাকায় তোলাবাজি নিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, শান্তিপুর পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন উপ পৌরপতি আব্দুল সালাম নির্দেশে তার ছেলে মন্টু কারিগরের নেতৃত্বে এদিন হামলা চালায়। যাদের উপর হামলা চালিয়েছে তারা শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের সমর্থক বলে পরিচিত।

মালঞ্চ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী রবিউল হোসেন বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই শান্তিপুর পৌরসভার প্রাক্তন উপ পৌরপতি আবদুল সালাম কারিগর এবং তার ছেলের নেতৃত্বে এই এলাকায় তোলাবাজি চলে। প্রতিটি দোকান এবং বাড়ির উপর দিয়ে টাকার দেওয়ার জন্য জুলুম চালায় তারা। প্রতিবাদ করতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দেখায় বলে অভিযোগ। গতকাল রাতেও এলাকায় ঢুকে মন্টু কারিগরের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তোলাবাজি চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সাকিবুল হোসেন এবং মুনা কারিকর তোলাবাজির প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় সাকিবুল হোসেন এবং মোনা কারিগরকে। তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয়রা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে এলে ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ এর পরেই রহিবুল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযুক্তদের বাড়িতে হামলা চালায় তারা। ভাঙচুর করা হয় বাইক কয়েকটি দোকান ঘর সহ একটি তাঁত ঘর। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাকিবুল হোসেন এবং কারিগরকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর এখনও উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এলাকা। চলছে শান্তিপুর পুলিশের টহলদারি। যদিও প্রাক্তন উপ পৌরপতি বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুল সালাম কারিকর। তিনি বলেন," এই ঘটনায় পেছনে আমার কোন সম্পর্ক নেই। এটা কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পুরনো আক্রোশে নিজেদের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে।" এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নদিয়া,23 জুলাই:তোলাবাজি নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দল শাসকদলের। গভীর রাতে কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি অস্ত্রের কোপ, সেইসঙ্গে চলল গুলি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া শান্তিপুর থানা এলাকায়। সূত্রের খবর, নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার 23 নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ পাড়া এলাকায় তোলাবাজি নিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, শান্তিপুর পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন উপ পৌরপতি আব্দুল সালাম নির্দেশে তার ছেলে মন্টু কারিগরের নেতৃত্বে এদিন হামলা চালায়। যাদের উপর হামলা চালিয়েছে তারা শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের সমর্থক বলে পরিচিত।

মালঞ্চ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী রবিউল হোসেন বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই শান্তিপুর পৌরসভার প্রাক্তন উপ পৌরপতি আবদুল সালাম কারিগর এবং তার ছেলের নেতৃত্বে এই এলাকায় তোলাবাজি চলে। প্রতিটি দোকান এবং বাড়ির উপর দিয়ে টাকার দেওয়ার জন্য জুলুম চালায় তারা। প্রতিবাদ করতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দেখায় বলে অভিযোগ। গতকাল রাতেও এলাকায় ঢুকে মন্টু কারিগরের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তোলাবাজি চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সাকিবুল হোসেন এবং মুনা কারিকর তোলাবাজির প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় সাকিবুল হোসেন এবং মোনা কারিগরকে। তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয়রা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে এলে ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ এর পরেই রহিবুল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযুক্তদের বাড়িতে হামলা চালায় তারা। ভাঙচুর করা হয় বাইক কয়েকটি দোকান ঘর সহ একটি তাঁত ঘর। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাকিবুল হোসেন এবং কারিগরকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর এখনও উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এলাকা। চলছে শান্তিপুর পুলিশের টহলদারি। যদিও প্রাক্তন উপ পৌরপতি বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুল সালাম কারিকর। তিনি বলেন," এই ঘটনায় পেছনে আমার কোন সম্পর্ক নেই। এটা কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পুরনো আক্রোশে নিজেদের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে।" এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.