নদিয়া, 17 জুন : দলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে প্রশ্রয় না দেওয়ার কথা একাধিকবার বলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ কিন্তু তাঁর নির্দেশ তৃণমূলের অনেক ছোটো-বড় নেতাই শুনছেন না বলে অভিযোগ উঠছে দলের মধ্যেই ৷ ফের শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার ধানতলা। সংঘর্ষে গুরুতর আহত উভয় পক্ষের কয়েকজন কর্মী ৷ তাদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । ধানতলা থানার আড়ংঘাটা এলাকার ঘটনা ।
আড়ংঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান রুমা নস্কর। অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বাড়ির বাইরে বসে ছিলেন ৷ হঠাৎ কয়েকজন যুবক তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। আচমকা প্রশ্ন করে, 200 জনের যাদের নামের তালিকা পঞ্চায়েত অফিসে জমা দেওয়া হয়েছিল তারা কেন টাকা পায়নি। এই বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ধাক্কা দিয়ে তাঁকে ফেলে দেয় তারা। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাড়ি থেকে প্রধানের দেওর বেরিয়ে আসেন। দেওরকে চড়, কিল, ঘুষি এবং বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।
এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে দলেরই আর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, এই গোষ্ঠীর কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সমীর পোদ্দারের অনুগামী ৷ চিৎকার চেঁচামেচি করলে ঘটনাস্থান ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর প্রধান ও তাঁর দেওরকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
ঘটনা এখানেই শেষ নয় ৷ এরপরই মঙ্গলবার রাতে প্রধান রুমা নস্করের স্বামী শান্তনু নস্কর কয়েকজনকে নিয়ে সমীর পোদ্দারের অনুগামীদের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ ওঠে ৷ সমীর পোদ্দারের অনুগামীদের ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। সমীর পোদ্দারের বেশ কয়েকজন অনুগামীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। উভয় পক্ষের তরফেই ধানতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও পর্যন্ত এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।