করিমপুর, 22 নভেম্বর : শেষবেলায় জমে উঠল করিমপুরের ভোটপ্রচার । নিজেদের মাটি ধরে রাখতে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেল বাম-কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূল এবং BJP । কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার সারলেন প্রার্থীরা ।
25 নভেম্বর করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচন । প্রচারের শেষ সময়সীমা শনিবার বিকেল পর্যন্ত । আজ সকাল থেকেই প্রচারের ময়দানে নেমেছেন তিন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ । কখনও পায়ে হেঁটে, আবার কখনও গাড়িতে জনসংযোগ সারলেন BJP প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার । সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল । প্রচারে এসে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "মানুষের উৎসাহ অভাবনীয় । কারণ করিমপুরের মানুষ কিছুই পায়নি । এখন করিমপুরের মানুষ পেতে চাইছে । স্বপ্ন দেখতে চাইছে । রাস্তা, চিকিৎসা, রেল নিয়ে নতুন করিমপুর গড়তে চাইছে । কাটমানি ইশুতে বর্তমান শাসক দলকে আক্রমণ করে জয়প্রকাশ বলেন, "গ্রামের রাস্তার অবস্থা দেখুন । প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার সব টাকা কাটমানিতে চলে গেছে । BDO-র অফিস একটি ঘুঘুর বাসা । সেইসব পরিবর্তন এবার আস্থা BJP-তে । BDO অফিসের নামে তৃণমূলী ঘুঘুর বাসা ভেঙে প্রকৃত উন্নয়ন করতে হবে । কংগ্রেস, CPI(M), তৃণমূল কেউ কথা রাখেনি ।"
অন্যদিকে,বিকেলে বাম কংগ্রেস জোটপ্রার্থী গোলাম রাব্বির সমর্থনে নির্বাচনী মিছিল করেন বাম সমর্থকরা । মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু । গোলাম রাব্বি বলেন, "ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি । সাধারণ মানুষের কাছে BJP ও তৃণমূলের মুখোশ উন্মোচিত । একটি গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি আমাদের সঙ্গে এক হয়েছে ।" তৃণমূলকে কটাক্ষ করে গোলাম রাব্বির বক্তব্য, "সাধারণ মানুষের ঘরে কোনও উন্নয়ন নেই । রেলের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসও যে কথা দিয়েছিল তা রাখেনি । 2016 সালের হেরে যাওয়া আসন ফিরে পেতে পুনরুদ্ধার করব ।"
প্রচারে পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায় । এই বিধানসভা কেন্দ্রটি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলেই ছিল। 2016 সালে দীর্ঘ বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মহুয়া মৈত্রের নেতৃত্বে আসে তৃণমূল কংগ্রেস । লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করার পর শূন্য হয়ে যায় এই আসনটি । নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে তৎপর তৃণমূলও । তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়ের বক্তব্য, "BJP-র কে কী বলছে তা আমার লক্ষ্য নয় । আমি মানুষকে ভালোবেসেছি । মানুষের জন্য কাজ করতে চাই ।"
করিমপুরে রেল লাইনের ইশুতেই সরব হয়েছে তিন দল । প্রচারে এসে একে অন্যকে দুষছে । বামেদের দীর্ঘ শাসনের অভিজ্ঞতা ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট, BJP-র মানুষের পাশে থাকার ভরসা, নাকি তৃণমূলের উন্নয়নের খতিয়ান, করিমপুর বিধানসভার ভাগ্য নির্ধারণ কীভাবে হয় এখন সেটাই দেখার ।