শান্তিপুর, 14 মে : ভয়াবহ নৌকাডুবিতে 18 জন মৃত্যু হয়েছিল নদিয়ার শান্তিপুর নৃসিংহপুর ফেরিঘাটে (boat capsized at Santipur Nrisinghapur ferry terminal) । আর সেই ঘটনা যাতে আর না হয় সে কারণে প্রশাসনের টহলদারি চলছে ফেরিঘাট চত্বরে ৷
প্রশাসনের নজরদারিতে নিয়ম মেনে চলছে যাত্রী পারাপার। শনিবার থেকেই শুরু ভবা পাগলার মেলা। বর্ধমানের কালনায় ভবা পাগলার মেলা উপলক্ষে নদিয়ার শান্তিপুর-সহ একাধিক জায়গা থেকে হাজার হাজার ভক্তরা নৃসিংহপুর গঙ্গার ঘাট থেকে নৌকা করেই ওপারে যান।
2016 সালে এই মেলাতে যাওয়ার জন্য এমনভাবেই পারাপার চলছিল। প্রশাসনের নিয়ম বহির্ভূত ভাবেই নৌকায় করে চলছিল পারাপার। একটি নৌকায় অত্যাধিক যাত্রী নেওয়ার কারণে হঠাৎ নৌকা তলিয়ে যায়। ঘটনার পর প্রশাসনের তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ওই ঘটনায় শিশু-সহ মোট 18 জনের মৃত্যু হয়। আহত হন একাধিক যাত্রী।
আরও পড়ুন : নগরোন্নয়নের ধাক্কা ! মেট্রোর কাজের জেরে অবলুপ্তির পথে আস্ত একটা পাড়া
প্রশ্ন উঠেছিল কীভাবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে যাত্রী পারাপার হচ্ছিল। মূলত সেই কথা মাথায় রেখেই এদিন সকাল থেকেই প্রশাসনের তৎপরতা লক্ষ করা যায়। যদিও বর্তমানে নৌকার বদলে ফেরিঘাটে ভেসেলে করে পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা। ভক্তরা যাতে নিয়ম মেনেই পারাপার করে সেই নজরদারি চালাতে শান্তিপুর থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। যাতে যাত্রী পারাপারে কোনওরকম নিয়ম ভাঙা না হয় সেই কারণে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।