গয়েশপুর (নদিয়া), 24 জুন : বোমাবাজি-গুলি-খুন । রাজনৈতিক মহলের কথায়, বর্তমানে নৈরাজ্য চলছে বাংলায় । একাধিক মহল থেকে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও তোলা হচ্ছে । বিশেষ করে BJP- রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া । সেকথা মাথায় রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মুকুল রায় । নেতৃত্বের দাবি, "2021 নয়, 2019-এই তৃণমূল ফিনিশ ।"
বিভিন্ন মঞ্চ থেকে একাধিকবার BJP নেতারা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন । সঙ্গে হুঁশিয়ারিও আছে, "6 মাসের মধ্যে সরকার ফেলে দেব ।" সম্প্রতি মুকুল রায় বলেছিলেন, "আমার সঙ্গে 140 জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন ।" বিশ্লেষকদের মতে, যদি সত্যিই 140 জন বিধায়ক BJP-তে যান তাহলে "পরিবর্তনের পরিবর্তন" অবশ্যম্ভাবী । সেক্ষেত্রে নতুন করে নির্বাচনও হতে পারে । রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, "লোকসভার ধাক্কা এখনও কাটাতে পারেনি তৃণমূল । আনাচে-কানাচে শোনা যাচ্ছে কাটমানির গল্প । সেইসঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভয়ংকর । রোজ খুন-খারাপির রাজনীতি মানুষ নিতে চাইছে না । তাই, 6 মাসের মধ্যে ভোট হলে মমতার পক্ষে কতটা ভোট পড়বে তা বলা দুষ্কর ।"
সুযোগের অপেক্ষায় BJP । সরকার পরিবর্তনের হুঁশিয়ারি চলছে জোরকদমে । কাল একই পথে হেঁটে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অর্জুন সিং । নদিয়ার গয়েশপুরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ । সেখানে তিনি বলেন, "শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন স্বার্থক হবে । পশ্চিমবঙ্গে 6 মাস পরই ক্ষমতায় আসবে ভারতীয় জনতা পার্টি ।"
তাহলে কি সত্যিই 6 মাসের মধ্যে ক্ষমতার হাতবদল হচ্ছে ? অতশত ভাবতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব । দলের এক শীর্ষনেতার কথায়, "ওরা ফেডেরাল স্ট্রাকচার ভাঙতে চাইছে । আমরাও গণতান্ত্রিক উপায়ে জিতে এসেছি । জোর করে সরকার থেকে হটানো যায় না । মানুষ এসব মেনে নেবে না ।" বিরোধী দলগুলি যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলছে ? এপ্রসঙ্গে ওই নেতা বলেন, "রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো । ওদের উচিত উত্তরপ্রদেশে নজর দেওয়া ।"
একটু অন্য কথা বললেন BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তিনি বলেন, "আমরা 356 ধারার দাবি করিনি । রাজ্যে যখন আইন-শৃঙ্খলা নেই তখন রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি ওঠে । বাংলার মানুষই এই দাবি তুলবে ।"