শান্তিপুর, 16 জুলাই: ভোটে জেতার পর থেকেই ঘরছাড়া বিজেপির টিকিটে জয়ী দুই মহিলা প্রার্থী। খোঁজ না-মেলায় আতঙ্কে দিন কাটছে পরিবারের। অভিযোগ, তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে ঘর ছাড়া প্রার্থী। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানার বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসপাড়া এলাকার।
উল্লেখ্য, বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা 27। সেখানে 16টি আসনে তৃণমূল জয় লাভ করে এবং 11টিতে জয়ী হয় বিজেপি। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের আসন সংরক্ষিত। তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সংরক্ষিত প্রধান হওয়ার কারণে যে দু'টি উপজাতির বুথ ছিল সেই দু'টিতে বিজেপি জয়লাভ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল সেখানে বোর্ড গঠন না-করতে পারার আশঙ্কায় ভুগছে। অভিযোগ, ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপির ওই দুই সংরক্ষিত জয়ী মহিলা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবারকে কখনও টাকার প্রলোভন, কখনও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। তার একটাই কারণ, যে কোনও উপায়ে ওই জয়ী দুই তফসিলি উপজাতি প্রার্থীর মধ্যে একজনকে তৃণমূলে যোগদান করতে হবে। কিন্তু ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বাবলা অঞ্চলের ওই দুই বিজেপি মহিলা প্রার্থী ঘরছাড়া। তাঁরা কোথায় রয়েছে, তাঁদের পরিবারও জানে না। সেই কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। বিজয়ী এক প্রার্থীর পরিবারের জানাচ্ছেন, যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসন তাঁদের ঘরে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক। তাঁরা যাতে শান্তিতে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হোক প্রশাসনের তরফে।
অন্যদিকে, পুরো ঘটনার অস্বীকার করেছে বাবলা অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি গোরাচাঁদ প্রামাণিক। তিনি বলেন, "আমরা মানুষের রায় মাথা পেতে নিয়েছি। বাবলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। বিজেপি নিজেরাই তাঁদের প্রার্থীকে লুকিয়ে রেখে নাটক করছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।" তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও বর্তমানে বোর্ড গঠন নিয়ে চরম সংখ্যায় রয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি তারাই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে।
আরও পড়ুন: সবকটি জেলাপরিষদ আসনেই জয়ী তৃণমূল, আলিপুরদুয়ার হাতছাড়া বিজেপির