কৃষ্ণনগর, 23 মার্চ : এতদিন রাজনীতির ছায়া মাড়াননি তিনি ৷ লাইট-ক্যমেরা-অ্যাকশন নিয়েই মজে ছিলেন তিনি ৷ রাজনীতিতে এসেই একেবারে ভোঠ ময়দানে ৷ তার উপর উল্টোদিকে রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী মুকুল রায় ৷ তবু বিন্দুমাত্র ভয় পাচ্ছেন না কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী কৌশানি মুখোপোধ্যায় ৷ কৃষ্ণনগরে আনন্দময়ী কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি প্রচারে নেমে পড়লেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অবনীমোহন জোয়ারদার ৷ 82 হাজার 864টি ভোট পেয়েছিলেন তিনি ৷ তার পরেই ছিলেন কংগ্রের অসীমা সাহা ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 69হাজার 949টি ৷ এবং তিন নম্বরে ছিলেন বিজেপির চঞ্চলকুমার বিশ্বাস ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 26 হাজার 796
কিন্তু 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে পরিস্থিতি বেশ কিছুটা পরিবর্তন হয় ৷ কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তিন নম্বর থেকে দু নম্বরে উঠে আসে বিজেপি ৷ এমনকী কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম স্থানে থাকে বিজেপি ৷ সেখানে বিজেপি ও তৃণমূলের ভোটের ফারাক ছিল প্রায় 27 শতাংশ ৷ তৃণমূলের তরফে গোটা জেলার দায়িত্বে রয়েছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত নথির ছবি তোলার চেষ্টা এসএসকেএম হাসপাতালে !
এই পিছিয়ে থাকা আসনে তারকা প্রার্থী দিয়ে জিততে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ কিন্তু মুকুল রায় প্রার্থী হওয়ায় লড়াই আরও কঠিন হয়ে গেল বলে তৃণমূলের অনেক নেতাই মনে করছেন ৷ লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ওই কেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূলের ভোটের ব্য়বধান ছিল 53 হাজারেরও বেশি ৷ তাই অনেকেই মনে করছে এমনিতেই ভোট সংখ্য়ার হিসেবে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস অন্য়দিকে মুকুল রায়ের মতো একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের প্রার্থী বেশ কিছুটা চাপে রয়েছেন ৷ 2001 সালের পর এবার ফের ভোটের ময়দানে নামছেন মুকুল ৷
কিন্তু জয়ের বিষয়ে 100 শতাংশ আশাবাদী কৌশানী ৷ তিনি বলেন, "সাধারণ মানুষের মন জয় করতে প্রচারে নেমেছি। এখন এটাই আমার কাছে কলকাতা মনে হচ্ছে। বিরোধীরা মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ হবেন। "