শান্তিপুর (নদিয়া), 11 এপ্রিল : শীতলকুচির বিধানসভা নির্বাচনে মৃত্যুর ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটব্যাঙ্ক এবং তোষণের রাজনীতির অভিযোগ আনলেন অমিত শাহ ৷ অভিযোগ করলেন শীতলকুচিতে সিআইএসএফ জওয়ানদের গুলিতে নিহত 4 জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু, ওই কেন্দ্রে গতকাল সকালে রাজবংশী সমাজের আনন্দ বর্মণকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ৷ সেই ঘটনায় একটা শব্দও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খরচ করেননি ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কেন এমনটা করলেন ? সেই প্রশ্ন তুলে শাহ-র তোপ, ‘‘আনন্দ বর্মণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্কের অনুকূল নন ৷’’
এদিন নদিয়ার শান্তিপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে রোড শো করেন অমিত শাহ ৷ রোড শো শেষে সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহ শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করেন ৷ পাশাপাশি গতকালের ঘটনায় তৃণমূল সুপ্রিমোর বিবৃতি নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ তিনি মমতার বিরুদ্ধে সরাসরি ভোট রাজনীতির অভিযোগ করেছেন ৷ তাঁর কথায়, শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলিতে নিহত 4 জনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু, ওই কেন্দ্রেই সকালে আনন্দ বর্মণ নামে এক যুবককে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করেছিল ৷ সেই মৃত্যু নিয়ে একটি কথাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেননি ৷ আনন্দ বর্মণের মৃত্যুতে কেন শোক প্রকাশ করলেন না তিনি ? কেন এই ভেদাভেদ ? সেই প্রশ্ন তুলেছেন অমিত শাহ ৷
আরও পড়ুন : এটা গণহত্যা, তথ্য লোপাটের জন্য আমাকে আটকে দেওয়া হল : মমতা
এখানেই অমিত শাহ তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করে বলেন, ‘‘মৃত্যু নিয়েও বাংলায় ভোটব্যাঙ্ক ও তোষণের রাজনীতি হচ্ছে ৷ বাংলার রাজনীতিকে মমতা দিদি এতটাই নিচে নামিয়ে এনেছেন ৷ আনন্দ বর্মণের মৃত্যুতে আমরা যেমন দুঃখিত ৷ তেমনি শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলি নিহতদের মৃত্যুতেও আমরা দুঃখিত ৷ রাজনীতিতে মৃত্যু কখনই কাম্য নয় ৷ কিন্তু, দিদি শুধুমাত্র 4 জনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানালেন, আনন্দ বর্মণের মৃত্যুতে নয় ৷ কারণ আনন্দ বর্মণ রাজবংশী সমাজের প্রতিনিধি ৷ তিনি দিদির ভোটব্যাঙ্কের জন্য অনুকূল নন ৷’’
আরও পড়ুন : আইন হাতে নিতে এলে শীতলকুচি সারা বাংলায় হবে : দিলীপ
পাশাপাশি ভোটের 48 ঘণ্টা আগে শীতলকুচিতে বাহিনীকে ঘিরে রাখার যে মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন ৷ তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন অমিত শাহ ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিন বাহিনীকে ঘিরে ফেলা বা তাদের উপর হামলা চালানোর উস্কানি না দিলে, গতকালের ঘটনা ঘটত না ৷ এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷