কৃষ্ণনগর, 29 ডিসেম্বর: কৃষ্ণনগরের টেরাকোটা শিল্প এবার স্থান পেল অযোধ্যার রাম মন্দিরে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার 'ধর্মপথে'র দুই ধারে সাজানো থাকবে রামায়ণে বর্ণিত কুড়ি ফুট বাই দশ ফুটের বিভিন্ন ঘটনার 200টি ম্যুরাল। যেগুলি তৈরি হচ্ছে পাথর, সিমেন্ট, সেরামিক টাইল, ফাইবার ও পোড়ামাটি দিয়ে। এর মধ্যে 100টি ম্যুরাল টেরাকোটার তৈরি। সেই কাজটিই করছেন কৃষ্ণনগরের শিল্পী বিশ্বজিৎ।
কৃষ্ণনগরের এই শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার জানান, প্রায় 27 জন শিল্পীকে নিয়ে তিনি এই কাজ শুরু করেছেন গত সেপ্টেম্বর মাসে। 100টি ম্যুরাল তৈরি হচ্ছে রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে এখনও পর্যন্ত 60 শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। 13 জন শিল্পী কাজ করছেন অযোধ্যার রাম মন্দিরে এবং বাকি 14 জন শিল্পী রয়েছেন কৃষ্ণনগরের মতি সুন্দরীতে তথা শিল্পীর ওয়ার্কশপে। শিল্পী বলছেন, আজ থেকে প্রায় 15 বছর আগে অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামে তাঁর শিল্পকর্ম রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁকে সেখানেই ডাকেন এবং সেখানে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় শিল্পীকে ৷
শুধু তাই নয়, এই শিল্পের ব্যাপারে তিনি বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে রাম মন্দিরে মূল প্রবেশ পথ ধর্মপথে এই শিল্প স্থান পাওয়াতে শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার খুশিতে আত্মহারা ৷ বিশ্বজিৎবাবু আরও বলেন, "এর আগেও যেহেতু অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামে আমি কাজ করেছিলাম সেটি দেখেই তাঁরা খুব খুশি হয়েছিলেন। এরপরই 2023 সালে আমাকে তাঁরা আমন্ত্রণ জানান এবং কাজের বরাত দেন। আমি এই কাজ পেয়ে খুব খুশি।"
উল্লেখ্য রাম মন্দিরের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্মানীয় ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এই রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে। আর কিছুদিন পরেই উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। উদ্বোধনের আগেই যাতে কাজের বরাত শেষ করা যায় সেই কারণে শিল্পীদের নিয়ে দিনরাত কাজ চলছে বিশ্বজিৎবাবুর।
আরও পড়ুন: