নবদ্বীপ, 8 অক্টোবর: গত দু'বছর করোনা আবহে সেভাবে কোনও পুজো না হওয়ার কারণে অধিকাংশ মৃৎশিল্পীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল । ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এ বছর মোটের ওপর সব পুজোই বেশ জাঁকজমকপূর্ণ হচ্ছে ।
বিশ্বকর্মা পুজোতেও মৃৎশিল্পীদের ব্যবসা ভালো হয়েছে ৷ মূলত যারা ছোট ও ছাচের প্রতিমা তৈরি করে তাদের ভালো ব্যবসা হয়েছে । বাজারের দোকানীদেরও বিশ্বকর্মা পুজোয় প্রতিমার টান ছিল ভালোই । সদ্য দুর্গাপুজো শেষ হতেই পুনরায় লক্ষ্মী লাভের আশায় মৃৎশিল্পীরা । কারণ রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো (Lakshmi Puja) । লক্ষ্মী দেবীর আরাধনায় ব্রতী হবে সকলেই । তাই লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত নবদ্বীপ শহরের ফাঁসি তলা, দণ্ডপানি তলা-সহ বিভিন্ন এলাকার মৃৎশিল্পীরা ৷ দিনরাত প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে ।
কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী রাইমা দাসও তাঁর দাদুর প্রতিমা তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছেন ৷ মূর্তি রং করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । রাইমা বলেন, "গত কয়েক বছর ধরে আমি দাদুর সঙ্গে কাজ করি ৷ দাদুর হাতে হাতে যতটা সম্ভব কাজ করে দিই ৷ গত দু'বছর খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এবার লক্ষ্মী প্রতিমার চাহিদা বেশি থাকায় আমাকেও দিনরাত কাজে হাত লাগাতে হচ্ছে (Artisans extremely busy in making Lakshmi idol) ।"
রাইমার দাদু মৃৎশিল্পী জীবনকৃষ্ণ পাল বলেন, "বিশ্বকর্মা পুজোতে ভালো বিক্রি হয়েছে ৷ সেই আশাতেই লক্ষ্মী মূর্তি বেশি করে তৈরি করছি ৷ আশা করি, বাজার ভালো যাবে ৷ কিন্তু কাঁচামালের দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ ফলে লাভের মুখ সেভাবে দেখতে পাচ্ছি না ।"
আরও পডুন: লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত সঙ্গী বৃষ্টি, তারপর হয়ত রেহাই
সব মিলিয়ে করোনা কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে কুমোরটুলি থেকে মৃৎশিল্পীরা ৷ এ বছর সব পুজোই হচ্ছে ধুমধাম করে ৷ দুর্গার পর মেয়ে লক্ষ্মীর এবার বাড়িতে আসার পালা ৷ পাশাপাশি এক লক্ষ্মীর হাতের ছোয়ায় তৈরি মেয়ের মূর্তি কতটা লাভের মুখ দেখতে পারে সেটারই অপেক্ষায় এখন মৃৎশিল্পীরা ।