নদিয়া, 23 অগাস্ট : স্কুল পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল নিয়ে অভিযোগ অব্যাহত ৷ দুর্নীতি রুখতে সরকার কড়া ব্যবস্থা নিয়েও লাভ হচ্ছে না ৷ খাবারগুলি অধিকাংশই দিনই মুখে দেওয়া যায় না, কখনও পোকা থাকে, কখনও বা তা আধসেদ্ধ, তাই সেসব ফেলে দিতে হয় পড়ুয়াদের, এমনটাই অভিযোগ উঠল নদিয়ার দুটি শিক্ষাকেন্দ্রে ৷ একটি চাপড়া থানার নবাবগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়, অপরটি তেহট্ট থানার গোপালপুর 55 নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ।
নবাবগঞ্জের স্কুলের ক্ষেত্রে অভিযোগ, কোনও কোনও দিন খাবারে ডিম মিললেও অধিকাংশ দিনই শুধুমাত্র ডাল-ভাত কিংবা শুধু ভাত-আলু সেদ্ধ দেওয়া হয় ৷ অন্যদিকে তেহট্টের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিড ডে মিল অপরিচ্ছন্ন এবং খিচুড়িতে পোকা রয়েছে, এই অভিযোগে কেন্দ্রের সামনে রাঁধুনি এবং শিক্ষিকাকে আটকে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা ৷
নবাবগঞ্জের স্কুলটির ক্ষেত্রে এক অভিভাবক জানান, তাঁর ছেলে এই স্কুলের ছাত্র । সে রোজই বাড়ি গিয়ে বলে, খাবার খেতে পারেনি ৷ কারণ কাঁচা রয়েছে বা নুন নেই ৷ ডিম খেতে চাইলেও রোজ তা দেওয়া হয় না ৷ এছাড়াও যে ভাবে রান্না করা হয় পড়ুয়াদের খাবারগুলি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ অভিযোগ, স্কুলের রান্নায় হয় পাট কাঠি কিংবা ডালপালা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ৷ কোনও গ্যাসের ব্যবস্থা নেই ৷ রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জলও পানের অযোগ্য বলে অভিযোগ ৷
শুক্রবার অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল শেষের পর কয়েকজন পড়ুয়া খিচুড়ি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিল । অভিযোগ, বাড়িতে গেলে অভিভাবকরা লক্ষ্য করেন খিচুড়িতে একাধিক পোকা রয়েছে । এরপর বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়াদের মায়েরা । শিক্ষিকা বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছুটিতে ছিলেন তিনি ৷ বাড়ি থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এসেছিলেন ৷ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা ৷ অভিযোগ, বেশিরভাগদিনই অপরিচ্ছন্নভাবে রান্না করা হয় এই কেন্দ্রে । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কেন্দ্রের শিক্ষিকা ও রাঁধুনি৷