শান্তিপুর, 31 মে : BJP-কে সমর্থন করায় একাধিকবার হুমকি । অবশেষে ভয় দেখিয়ে BJP সমর্থককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে । ঘটনায় আটক দুই তৃণমূল কর্মী। অপহৃত যুবকের নাম রিজন পাল (২৩) । ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া বয়রা গ্রামের ।
রিজনের বাবা রাম পাল বলেন, কাপড়ের ব্যবসা করার কারণে প্রতিদিন ভোরবেলা রিজনকে ঘুম থেকে উঠতে হয় । সেইমতো আজও ভোরবেলা উঠেছিল সে । এরপর তিনি ছেলেকে ঘরের বাইরে থেকে ডাকেন । কিন্তু রিজন সাড়াশব্দ দেয় না । ঘরের ভিতরে ঢুকে তিনি দেখেন ছেলে নেই। এরপরই রিজনকে খুঁজতে থাকে তার বাড়ির লোকজন । কিন্তু তাকে পাওয়া যায় না বলে জানান রিজনের বাবা । ঘটনার পর রিজনের বাড়িরিজনের র সামনে তার মোবাইল ফোন এবং পায়ের চটি পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন । এরপরই সন্দেহ দানা বাঁধে । দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরও রিজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ।
রিজনের বাবার অভিযোগ, ছেলে BJP করায় তৃণমূলের লোকজন অপহরণ করেছে । তিনি বলেন, "BJP-র ছেলেদের সঙ্গে আমার ছেলে ঘুরত। মোদি এসেছিল তখনও রিজন গেছিল । আমার প্রতিবেশী উদয় পাল কয়েকদিন আগে ছেলেকে বলে তুমি BJP করো ? তোমার এত বড় স্পর্ধা । তুমি জানো আমি কী করতে পারি ? ছেলে আমার বলেছিল দাদা আমি তো কিছু করিনি। মোদি এসেছিল শুধু দেখতে গেছি । উদয় বলে তোমার অসুবিধা হয়ে যাবে রিজন ।"
এরপর আজ ভোরবেলা থেকে রিজন নিখোঁজ । রাম পালের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই তাঁর ছেলেকে অপহরণ করেছে । রিজনের পরিবার শান্তিপুর থানায় তিন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে । তৃণমূল কর্মী উদয় পাল, মধু ঘোষ এবং তাপস ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে । রামবাবু বলেন, এই তিনজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত । অভিযোগ পেয়ে মদন পাল এবং উদয় পালকে আটক করেছে পুলিশ ।
যদিও অভিযুক্ত উদয় পাল পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন, "এই ধরনের রাজনীতি আমরা করি না। আমরা রাজনীতির লোক নই। খেটে খাওয়া লোক। রিজনের বাবার সঙ্গে আমরা গতকালই গল্প করেছি । আমি কখনই রিজন পালকে হুমকি দিইনি।"
শান্তিপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তপন সরকার বলেন, "রিজন পালের নিখোঁজ হওয়ার কথা আমিও শুনেছি। কিন্তু তৃণমূলের নামে যে অভিযোগ উঠছে সেটা আমার মনে হয় ঠিক নয় । তবে প্রশাসন আছে। তারা এটা তদন্ত করবে । আমরা চাই সত্যের উদঘাটন হোক । BJP কর্মীরা যদি তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে তবে সেটা ঠিক হবে না । BJP-র মধ্যে কোন্দল আছে । নিজেদের কোন্দল ঢাকার জন্য তৃণমূলকে দোষোরোপ করা হচ্ছে । কিন্তু আইন আইনের পথে চলবে ।"