কলকাতা, 9 মার্চ : কোরোনা সংক্রমণ নয় । ডায়াবেটিক কোমায় মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের যুবক মিনারুল হকের । প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়েছিল, কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মিনারুলের । কিন্তু মৃত্যুর 24 ঘণ্টার মধ্যে টেস্ট রিপোর্ট হাতে পেয়ে হাঁফ ছাড়ল মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ । হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃত মিনারুল হকের থ্রোট সোয়াব নমুনায় মিলল না কোরোনা ভাইরাস ।
মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নভেল কোরোনা ভাইরাস (COVID-19)-এর সংক্রমণ সন্দেহে চিকিৎসাধীন ছিল মিনারুল । গতকাল সেখানেই তার মৃত্যু হয় । এরপর এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায় । রাতে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষও মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি । থ্রোট সোয়াব সংগ্রহ করে বেলেঘাটা ভাইরাস রিসার্চ এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয় । রাত তিনটে নাগাদ সেই নমুনা পৌঁছায় বেলেঘাটায় । পরীক্ষার পর নমুনাতে কোরোনা ভাইরাস ধরা পড়েনি । আজ স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, এই রোগীর মৃত্যুর কারণ COVID-19-এর সংক্রমণে হয়নি । মৃত্যুর কারণ ডায়াবেটিক কোমা।
সৌদি আরব থেকে সদ্য ফিরেছিল মিনারুল । শনিবার মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করানো হয় । জ্বর, শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি তার রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেশি ছিল । এই রোগীর দেহে COVID-19 সংক্রমণ যে হয়নি তা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন চিকিৎসকরা । যেহেতু ট্রাভেল হিস্ট্রি রয়েছে, তাই কোরোনা সন্দেহে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় ।
আজ বেলেঘাটার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এনটেরিক ডিজিজেস (NICED)-এ পরীক্ষা করা হয়েছে । এই রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেন, "এই রোগীর সোয়াবের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে । তিনি COVID-19-এ আক্রান্ত হননি । রোগীর মৃত্যুর কারণ ডায়াবেটিক কোমা ।"