সাগরদিঘি, 22 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী টিকিট বিক্রি করিনি ৷ কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি টিকিট বিক্রি করেছি তাহলে ওইদিনই পদত্যাগ করব ৷ ইটিভি ভারতকে এমনটাই জানালেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস ৷ সম্প্রতি বাইরনের বিরুদ্ধে ভোটের টিকিট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই দাবি করলেন তিনি ৷ তবে 40 শতাংশ প্রার্থীপদের টিকিট বিতরণ হয়েছে বলে ইটিভি ভারতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নিলেন বাইরন ৷
সরকারি সাহায্য পেয়ে মানুষের স্বার্থে কাজ করার লক্ষ্যেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে জানালেন সাগরদিঘির বিধায়ক । তিনি বলেন, "কংগ্রেসে থেকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না ৷ বিধায়ক হয়ে যদি কোনও কাজ না-করতে পারি তাহলে সে পদ পেয়ে কোনও মূল্য নেই । সে কারণে তৃণমূলে যোগদান করি। সব কাজে বাধাপ্রাপ্ত হতাম। বর্তমানে শাসকদলের বিধায়ক হওয়ায় সরকারি সমস্ত সমর্থন পাচ্ছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে উন্নয়নমূলক কাজ, তা মানুষ সচক্ষে দেখছে ৷ সেই সমস্ত কাজের কথা তুলে ধরেই মানুষের কাছে প্রচার করছি।"
পঞ্চায়েতের টিকিট বিতরণ নিয়ে বাইরন বিশ্বাস বলেন, "পঞ্চায়েতের টিকিট বিতরণের বিষয় নিয়ে ভুল কথা প্রচারিত হয়েছে । 70 থেকে 80 শতাংশ টিকিট বিতরণের যে কথা উঠে এসেছে, তা একদমই সত্যি নয় ৷ 40 শতাংশ টিকিট বিতরণ হয়েছে এবং বাকিটা স্বচ্ছভাবেই নির্বাচন হবে। আশা করছি তৃণমূলের এবারও ভালো ফলাফল হবে।"
সাগরদিঘির মানুষ মাত্র চারমাস আগে বাইরন বিশ্বাসকে কংগ্রেস দলের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোট দিয়ে জয়লাভ করিয়েছে । কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না বলে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় যে সাধারণ মানুষ তাঁর উপর কতটা আস্থা রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দেয় ৷ ভোটের ফলাফলে 11 জুলাই তা জানা যাবে ।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ বাইরন বিশ্বাসের, বিধানসভা ফের বাম-কংগ্রেস শূন্য
উল্লেখ্য, সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র দীর্ঘদিনের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত সাহা । 2022 সালে ডিসেম্বরে মাসে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ ওই আসনটি খালি হওয়ায় ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানে উপনির্বাচন ঘোষণা করে রাজ্য সরকার । উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস ৷ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন তিনি । তারপর হঠাৎ 29 মে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা নিয়ে শাসকদলে যোগ দেন তিনি ।