নবগ্রাম, 5 অগস্ট: জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল পুলিশের ৷ লকআপেই মৃত্যু হয় যুবকের ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নবগ্রাম থানা চত্বর ৷ এর পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলেও জানা গিয়েছে ৷ উত্তেজিত জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হল কাঁদানে গ্যাস ৷ জনতাকে আটকে রাখতে থানার গেটের সামনে কাচ ভেঙে ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ৷
পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতেয়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী ৷ মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, "নবগ্রামে আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল ৷ এখন তা সামাল দেওয়া গেছে ৷" সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ লকআপে মৃত্যু হয় গোবিন্দ ঘোষের (30) ৷ তাঁর বাড়ি নবগ্রাম থানার সিঙ্গার গ্রামে ৷ গোবিন্দ ঘোষ নবগ্রাম সেনা ছাউনিতে দিনমজুরের কাজ করতেন ৷ দিন কয়েক আগে তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে ৷ সোনা ও নগদ টাকা চুরি যায় ৷
এই ঘটনায় গৃহকর্তা সাত জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই তালিকায় নাম ছিল গোবিন্দ ঘোষেরও ৷ পরিবারের দাবি, ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বুধবার গোবিন্দ ঘোষকে থানায় ডেকে নিয়ে যায় নবগ্রাম থানার পুলিশ ৷ জেরার পরও তাঁকে ছাড়েনি পুলিশ ৷ বৃহস্পতিবার যুবকের পরিবার থানায় দেখা করতে গেলে বলা হয় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷ ছেড়ে দেওয়া হবে ৷ এদিকে গোবিন্দ ঘোষের বাবা শক্তিপদ ঘোষ জানান, চুরির ঘটনার দিন গোবিন্দ ঘোষ সেনা ছাউনিতে কাজ করছিলেন ৷ পরিবারের লোকজন তার প্রমাণ দিয়েছে ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও গোবিন্দ ঘোষকে পুলিশ ছাড়েনি ৷
আরও পড়ুন: লকআপে কিশোরের মৃত্যু নিয়ে নতুন রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
শুক্রবার থানার লকআপে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় গোবিন্দ ঘোষের ৷ এরপর মৃতের পরিবার ও গ্রামের প্রায় তিনশো লোক নবগ্রাম থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ ৷