বহরমপুর, 17 ফেব্রুয়ারি: এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে থানার লক আপে মারধরের অভিযোগ উঠল কান্দি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে । স্থানীয় মন্দিরে একটি চুরির ঘটনায় পুলিশের চোখে সন্দেহভাজন ছিল গোকর্ণের বাসিন্দা পেশায় ফুচকা বিক্রেতা ধুলু বাগদি ৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেয় কান্দি থানার পুলিশ ৷ এরপর ধুলু বাগদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করতে হয় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোকর্ণে ।
সম্প্রতি গোকর্ণ গ্রামের শ্যামরায় মন্দিরে একটি চুরির ঘটনা ঘটে । মন্দিরের তালা ভেঙে ঢুকে দুষ্কৃতীরা বিগ্রহের গা থেকে খুলে নিয়ে যায় কয়েক লাখ টাকার সোনা ও রুপোর গয়না । এই ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার রাতে মন্দির সংলগ্ন ধুলু বাগদির বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ । ধুলু বাগদিকে ঘুম থেকে উঠিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় গোকর্ণ বিট হাউজ়ে । রাতেই তাঁকে কান্দি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । এরপর লক আপে ধুলু বাগদিকে বেধড়ক মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করে ।
এদিকে চুরির ঘটনায় নিরীহ গ্রামবাসীকে তুলে এনে মারধরের অভিযোগে পুলিশকে ঘিরে আজ বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা৷ পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিও বেধে যায় ৷ বিকেলে ফের ওই চুরির তদন্তে গোকর্ণে পুলিশ এলে তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা ।
গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশের মারে গুরুতর জখম ধুলু বাগদির চিকিৎসার ভার নিতে হবে পুলিশকে ৷ পাশাপাশি অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে হবে ।