মুর্শিদাবাদ, 17 মে: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার রাতে সালারের সালুতে অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গলবার রাতেই কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করানো হল মুরসেলিম শেখকে। জানা গিয়েছে, ভরতপুর 2 নম্বর ব্লকের সালু গ্রামে অঞ্চল সভাপতি মুরসেলিম শেখ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের নিয়ে আলোচনা শেষ করে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় তার উপর অতর্কিতে হামলা করে দুষ্কৃতিরা।
তৃণমূল কর্মী রায়হান, দয়াল, রসিদ করিম এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুরসেলিম। লোহার রড দিয়ে মাথায় ও দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয় বলেও জানান তিনি। আক্রান্তের ছেলে আলতাব রেজা জানান, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কারণে এমন ঘটনা ঘটায় দুষ্কৃতিরা। তাদের প্রতিপত্তি খর্ব হয়ে যেতে পারে সেই আশঙ্কায় একা পেয়ে অঞ্চলের সভাপতিকে মারধর করা হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে সামিল হয়েছে তারা। কোনও কারণে তাদের ক্ষমতা যাতে নষ্ট হয় সে কারণেই হামলা বলে অভিযোগ ছেলের। আক্রান্তের স্ত্রী আজমিরা বিবি জানান, হ্যাপি, রায়হান, রসিদ ছাড়াও বেশ কিছু দুষ্কৃতিরা এই হামলা চালিয়েছে। তাদের মধ্যে রায়হান হচ্ছে পঞ্চায়েত সদস্য।
আরও পড়ুন: নওশাদদের পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের বিতর্কে আরাবুল
ভরতপুর 2 নম্বর ব্লকের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ঘনিষ্ঠ সালু অঞ্চলের সভাপতি আক্রান্ত মুরসেলিম শেখ। যারা মারধর করেছেন তারা বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। আহত অঞ্চল সভাপতির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক অপূর্ব সরকার। তিনি অবশ্য গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব মানতে রাজি হননি। তাঁর কথায়, "তৃণমূলের নেতৃত্ব কখনই দলেরই কারও উপর আঘাত হানতে পারে না। এই কাজ দুষ্কৃতিদের। আমরা দলের পক্ষ থেকে আহত অঞ্চল সভাপতির পাশে থাকব। প্রশাসনের কাছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাব।" এই ঘটনার পর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। কী কারণে এই হামলা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷