মুর্শিদাবাদ, 16 ফেব্রুয়ারি : আজ সকাল দশটা নাগাদ গোকর্ণ শ্যামা মন্দিরে পুজো করতে আসেন পুরোহিত ৷ দেখেন মন্দিরের মূল প্রবেশ পথের দেওয়াল ভাঙা ৷ কিছুটা দূর এগিয়ে দেখেন মন্দির গর্ভের ঢোকার গেটের তালাটাও ভেঙে মাটিতে পড়ে আছে ৷ ভিতরে ঢুকতেই নজরে পড়ল উধাও মূর্তির গায়ের ৮ ভরি সোনা ও প্রায় তিনকেজি রুপোর গয়না সহ পুজোর সমস্ত সামগ্রী৷ খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশকে ৷ শুরু হয় তদন্ত ৷ ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানা এলাকার ৷
কথিত আছে , প্রায় তিন চারশো বছর পূর্বে এই গ্রামে একটি শ্মশান ছিল । সেখানে গোকর্ণের বাসিন্দা হটেশ্বর রায় শ্মশানকালী প্রতিমার প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেছিলেন । তখন একে হাটুরায়কালী বলা হত । পরবর্তীকালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে অন্য এক বাসিন্দা শ্যামাচরণ রায় তাঁর বাড়িতে বেদী স্থাপন করে পুজো শুরু করেন । ফলে ওই কালীর নাম বদলে হয় শ্যামারায় কালী । গ্রামবাসীরা মনে করেন যে শুদ্ধ কায়-মন-বাক্যে যদি কেউ এই মন্দিরে প্রার্থনা করে তবে তাঁর মনস্কামনা সফল হবেই ।
স্থানীয় সূত্র থেকে চুরি প্রসঙ্গে জানা গেছে, কান্দির এই অঞ্চলের বিভিন্ন মন্দির থেকে প্রায়শোই চুরি যায় পুজোর সামগ্রী ৷ তবে এত গয়না চুরি আগে কখনও হয়নি ৷ মন্দির কর্তৃপক্ষ তথা মন্দির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাচরণ রায়ের এক আত্মীয় অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন , "আনুমানিক ৮ ভরি সোনা ও প্রায় তিন কেজি রুপোর গয়না চুরি গেছে ৷ তবে তার বাজার মূল্য কত তা আমি বলতে পারব না ৷ হিসাব করে দেখতে হবে ৷" তিনি আরও বলেন, "কে বা কারা এই চুরি করছে সে বিষয় নিয়ে আমার জানা নেই ৷ তবে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাই এই মন্দিরে পুজো দিতে পারেন ৷"
স্থানীয় থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ খতিয়ে দেখছে ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত ।