বহরমপুর, 31 মে: সংক্রমণের আশঙ্কা আবাসনের বাসিন্দাদের৷ তাঁদের বাধায় ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারছিলেন না হরিয়ানা থেকে আসা এক পড়ুয়া। ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বহরমপুর গোরাবাজার এলাকার একটি বহুতল আবাসনে। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে নিজের ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারলেন ওই পড়ুয়া। তবে, তিনি আপাতত ঘরের বাইরে বেরোতে পারবেন না। তাঁকে 14 দিনের কোয়ারানটিনে থাকতে হবে৷
বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার বহুতলের বাসিন্দা ফিজা বেগম হরিয়ানায় উচ্চ শিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন৷ এরপর কোরোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জারি হয় লকডাউন৷ লকডাউনে সে রাজ্য়ে আটকে পড়েন বহরমপুরের বাসিন্দা। সাম্প্রতিককালে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ফেরার উদ্যোগ নেন তিনি৷ অবশেষে আজই বহরমপুরে ফেরেন৷ কিন্তু, গোরাবাজারের আবাসনের নিজের ফ্ল্যাটে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেয় প্রতিবেশীরা৷ পড়ুয়ার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের৷ এই ঘটনায় তুমুল হট্টগোল হয় আবাসনে।
যদিও ফিজা বেগমের দাবি, হরিয়ানায় তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। তিনি কোরোনা নেগেটিভ। সুস্থতার প্রমাণ হিসেবে টেস্ট রিপোর্টও দেখান তিনি৷ তবে, প্রতিবেশীরা কোনও কথা মানতে চায়নি। বচসার জেরে একসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যদিও এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে৷ বহরমপুর থানার পুলিশের মধ্যস্থতায় ফিজা বেগমকে শর্তসাপেক্ষে তাঁর ফ্ল্যাটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
আপাতত ফিজা বেগমকে 14 দিনের হোম কোয়ারানটিনে থাকতে হবে৷ আবাসনের কেয়ারটেকার খাদ্য সামগ্রী সহ অন্য় প্রয়োজনীয় জিনিস ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেব৷