ETV Bharat / state

দুর্ঘটনায় বাদ পড়েছে দু’টি হাত, তবুও শ্রমকে বেছে নিয়ে বড়ঞার মানুষের অনুপ্রেরণা সুরেশ বাগদি

Murshidabad Resident Suresh Bagdi is Inspiration for People: মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার গোলাহাটের বাসিন্দা সুরেশ বাগদি ৷ আর পাঁচজন মানুষের মতো তিনি নন ৷ অনেকবছর আগে মেশিনে খড় কাটতে গিয়ে দু’টি হাত কাটা যায় ৷ দুই হাত হারিয়েও মনের জোর হারননি সুরেশ বাগদি ৷ বাকি পাঁচজনের মতোই পরিশ্রম করে রোজগার করছেন, নিজের সংসার চালাচ্ছেন ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 15, 2023, 10:31 PM IST

ETV BHARAT
ETV BHARAT
বড়ঞার মানুষের অনুপ্রেরণা সুরেশ বাগদি

বড়ঞা (মুর্শিদাবাদ), 15 ডিসেম্বর: অনেক বছর আগে মেশিনে ঘাস কাটার সময় এক দুর্ঘটনায় দু’টি হাত কাটা যায় মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার গোলাহাটের বাসিন্দা সুরেশ বাগদির ৷ কিন্তু, সেই দুর্ঘটনা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি ৷ হাত না থাকা সত্ত্বেও কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করেন সুরেশবাবু ৷ হ্যান্ড ট্রাক্টর চালান তিনি ৷ বাড়িতে গরু, মোষ রয়েছে ৷ নিজের চাষের জমিও রয়েছে ৷ সেখানেও নিয়মিত সময় দেন ৷ চাষাবাদে সাহায্য করেন ৷ বিকলাঙ্গ হয়েও পরিবারের সদস্যদের উপর নির্ভরশীল নন তিনি ৷ তাই বড়ঞা এলাকার সকল মানুষের জীবনে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন সুরেশ বাগদি ৷

সুরেশ বাগদি বড়ঞার বিভিন্ন দুগ্ধ সমিতি থেকে দুধ তাঁর হ্যান্ড ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন দোকানে পৌঁছে দেন ৷ সেই সঙ্গে পশুখাদ্য-সহ অন্যান্য বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসার কাজ করেন ৷ তাও কারও সাহায্য ছাড়াই ৷ কীভাবে করেন তিনি এতসব ? ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে তিনি জানান, হাত না থাকা সত্ত্বেও তাঁর এই কঠোর পরিশ্রমের রহস্য হল ইচ্ছে শক্তি ও মনের জোর ৷ এই দু’টিকে সম্বল করে দিনরাত তিনি পরিশ্রম করে চলেছেন ৷ এমনকি নিজের জমিতে চাষও করেন ৷ বাড়ির গরু ও মোষের দেখাশোনাও নিজেই করেন ৷

পরিবারে স্ত্রী, সন্তানরা ছাড়াও বাবা, মা ও ভাই রয়েছে ৷ তাঁর ভাইও উপার্জন করেন ৷ কিন্তু, নিজের সংসার চালানোর জন্য অন্য কারও উপর নির্ভরশীল হতে নারাজ সুরেশ বাগদি ৷ জানালেন, দুর্ঘটনায় হাত দু’টি হারানোর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ঠিকই ৷ কিন্তু, নিজের মনের জোর ও ইচ্ছে শক্তিকে কখনই দমে যেতে দেননি ৷ আর তাই দুর্ঘটনা থেকে ফিরে ধীরে ধীরে ছোটখাটো কাজ করতে শুরু করেন ৷ ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে তাঁর ৷ ব্যস আর কী ! সেই থেকে টানা 9 বছর ধরে হ্যান্ড ট্রাক্টর চালিয়ে ও মালবহন করে সংসার চালাচ্ছেন ৷

স্থানীয় এক বাসিন্দা অজয় কুমার দে’র বক্তব্য, ‘‘শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়লে অনেকেই মনের জোর হারিয়ে ফেলেন ৷ কিন্তু সুরেশ বাগদির মনের জোর রয়েছে ৷ দীর্ঘ 9 বছর ধরে হ্যান্ড ট্রাক্টরে সামগ্রী বহন করছেন ৷ বিভিন্ন সমিতি থেকে দুধ সেন্টারগুলিতে পৌঁছে দেন ৷ এটা একটা অনেক বড় দায়িত্ব ৷ কিন্তু, কখন সুরেশ বাগদিকে দেখিনি, সময়ের পিছনে চলতে ৷ সর্বদা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে চলেছেন ৷’’

আরও পড়ুন:

  1. বাস্তবের 'জয়-বীরু', আট বছর ধরে একসঙ্গে খাবারের জোগাড় বিশেষভাবে সক্ষম দুই বন্ধুর
  2. 'পয়সা দেবো, আমাকে হাওড়া নিয়ে চলুন;' বিশেষভাবে সক্ষমের কাতর আবেদনে সাড়া দিলেন না বাসকর্মীরা!
  3. ইটিভি ভারতের খবরের জের, বিশেষভাবে সক্ষম উচ্চমাধ্যমিকে কৃতীর পাশে পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান

বড়ঞার মানুষের অনুপ্রেরণা সুরেশ বাগদি

বড়ঞা (মুর্শিদাবাদ), 15 ডিসেম্বর: অনেক বছর আগে মেশিনে ঘাস কাটার সময় এক দুর্ঘটনায় দু’টি হাত কাটা যায় মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার গোলাহাটের বাসিন্দা সুরেশ বাগদির ৷ কিন্তু, সেই দুর্ঘটনা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি ৷ হাত না থাকা সত্ত্বেও কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করেন সুরেশবাবু ৷ হ্যান্ড ট্রাক্টর চালান তিনি ৷ বাড়িতে গরু, মোষ রয়েছে ৷ নিজের চাষের জমিও রয়েছে ৷ সেখানেও নিয়মিত সময় দেন ৷ চাষাবাদে সাহায্য করেন ৷ বিকলাঙ্গ হয়েও পরিবারের সদস্যদের উপর নির্ভরশীল নন তিনি ৷ তাই বড়ঞা এলাকার সকল মানুষের জীবনে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন সুরেশ বাগদি ৷

সুরেশ বাগদি বড়ঞার বিভিন্ন দুগ্ধ সমিতি থেকে দুধ তাঁর হ্যান্ড ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন দোকানে পৌঁছে দেন ৷ সেই সঙ্গে পশুখাদ্য-সহ অন্যান্য বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসার কাজ করেন ৷ তাও কারও সাহায্য ছাড়াই ৷ কীভাবে করেন তিনি এতসব ? ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে তিনি জানান, হাত না থাকা সত্ত্বেও তাঁর এই কঠোর পরিশ্রমের রহস্য হল ইচ্ছে শক্তি ও মনের জোর ৷ এই দু’টিকে সম্বল করে দিনরাত তিনি পরিশ্রম করে চলেছেন ৷ এমনকি নিজের জমিতে চাষও করেন ৷ বাড়ির গরু ও মোষের দেখাশোনাও নিজেই করেন ৷

পরিবারে স্ত্রী, সন্তানরা ছাড়াও বাবা, মা ও ভাই রয়েছে ৷ তাঁর ভাইও উপার্জন করেন ৷ কিন্তু, নিজের সংসার চালানোর জন্য অন্য কারও উপর নির্ভরশীল হতে নারাজ সুরেশ বাগদি ৷ জানালেন, দুর্ঘটনায় হাত দু’টি হারানোর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ঠিকই ৷ কিন্তু, নিজের মনের জোর ও ইচ্ছে শক্তিকে কখনই দমে যেতে দেননি ৷ আর তাই দুর্ঘটনা থেকে ফিরে ধীরে ধীরে ছোটখাটো কাজ করতে শুরু করেন ৷ ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে তাঁর ৷ ব্যস আর কী ! সেই থেকে টানা 9 বছর ধরে হ্যান্ড ট্রাক্টর চালিয়ে ও মালবহন করে সংসার চালাচ্ছেন ৷

স্থানীয় এক বাসিন্দা অজয় কুমার দে’র বক্তব্য, ‘‘শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়লে অনেকেই মনের জোর হারিয়ে ফেলেন ৷ কিন্তু সুরেশ বাগদির মনের জোর রয়েছে ৷ দীর্ঘ 9 বছর ধরে হ্যান্ড ট্রাক্টরে সামগ্রী বহন করছেন ৷ বিভিন্ন সমিতি থেকে দুধ সেন্টারগুলিতে পৌঁছে দেন ৷ এটা একটা অনেক বড় দায়িত্ব ৷ কিন্তু, কখন সুরেশ বাগদিকে দেখিনি, সময়ের পিছনে চলতে ৷ সর্বদা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে চলেছেন ৷’’

আরও পড়ুন:

  1. বাস্তবের 'জয়-বীরু', আট বছর ধরে একসঙ্গে খাবারের জোগাড় বিশেষভাবে সক্ষম দুই বন্ধুর
  2. 'পয়সা দেবো, আমাকে হাওড়া নিয়ে চলুন;' বিশেষভাবে সক্ষমের কাতর আবেদনে সাড়া দিলেন না বাসকর্মীরা!
  3. ইটিভি ভারতের খবরের জের, বিশেষভাবে সক্ষম উচ্চমাধ্যমিকে কৃতীর পাশে পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.