মুর্শিদাবাদ, 27 এপ্রিল: কাঠফাটা রোদের পর স্বস্তি পেতে মানুষ চেয়েছিল একটু বৃষ্টি। রবিবার বিকেল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে এল বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির খবর। তবে এক্ষেত্রেও শিরে সংক্রান্তি। বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের কারণে একাধিক মৃত্যুর খবর এল মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দুপুর নাগাদ টানা দু'ঘণ্টা ধরে বৃষ্টি হয়। তার জেরে প্রাণ গেল একই পরিবারের দুই ভাই-সহ 3 জনের ৷ পাশাপাশি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন 6 জন ৷
বৃহস্পতিবার দুপুরে বজ্রপাত-সহ বৃষ্টিতে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর 2 নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কাগগ্রাম এলাকায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের দুই ভাই হাবিব শেখ (24) এবং নেকবস শেখের (26) ৷ বজ্রাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন ওই পরিবারেরই হেলু শেখ, আমিনুর শেখ এবং হেরু শেখ নামে তিন ব্যক্তি। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার লক্ষ্মীনগরে বছর একুশের সালাউদ্দিন শেখ নদীর ধারে বসেছিলেন ৷ সেইসময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ পাশাপাশি সেখানে আরও 4 জন আহত হয়েছেন ৷
কাগগ্রাম এলাকায় বজ্রাঘাতে আহত 5 জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা দু'জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ অপর তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যদিকে, সামশেরগঞ্জে থানার লক্ষীনগরে মৃত যুবক সালাউদ্দিন শেখের বাড়ি ফরাক্কা থানার মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এনায়েতনগর গ্রামে। মাসকয়েক আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁর।
আরও পড়ুন: বিকেলেই সন্ধ্যা নামল কলকাতায়, ঝেঁপে বৃষ্টি তিলোত্তমায়
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে পাশের গ্রাম লক্ষ্মীনগরে গঙ্গার ধারে এসেছিলেন ওই যুবক। সেসময় নদীতে থাকা একটি নৌকা ডাঙাতে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছিলেন আরও তিন যুবক। তাঁদের সহযোগিতা করতে নৌকো ডাঙায় উঠিয়ে নিয়ে আসতে নদীর ধারে যান মৃত সালাউদ্দিন শেখ। তখনই শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। তার মাঝেই পড়ে বাজ। নদীর তীরে জ্ঞান হারান চার যুবকই। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা 4 জনকে সামশেরগঞ্জের অনুপনগর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই সালাউদ্দিন শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি তিনজনের মধ্যে অপর একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়।