ETV Bharat / state

কাশ্মীর কি দেশের অঙ্গ নয় ? প্রশ্ন অধীরের

কাশ্মীর ইশুতে এবার সত্যপাল মালিককে একহাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি ।

অধীর চৌধুরি
author img

By

Published : Aug 26, 2019, 11:53 AM IST

Updated : Aug 26, 2019, 12:59 PM IST

দিল্লি, 26 অগাস্ট : 5 অগাস্ট উপত্যকায় প্রত্যাহার হয় 370 ধারা । তারপর থেকেই কাশ্মীর ইশুতে তোলপাড় দেশ । কিছুদিন আগে কাশ্মীরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাহুল গান্ধি । টিপ্পনি কেটে 13 অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক রাহুল গান্ধির উদ্দেশে প্লেন পাঠাবেন বলেন । তবে শনিবার নিজের খরচেই রাহুলসহ 11 জন বিরোধী নেতা কাশ্মীরে যান । তাঁদের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে দিল্লি ফেরত পাঠানো হয় । সেই ইশুতে এবার সত্যপাল মালিককে একহাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি । তাঁকে রাজ্যপালের বদলে জম্মু ও কাশ্মীরের BJP-র সভাপতি বানিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন অধীর ।

বিরোধী দলনেতাদের সঙ্গে রাহুল গান্ধি শনিবার গেছিলেন কাশ্মীরে । সেখানে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি । রাহুল গান্ধি তারপর জানান, কাশ্মীরে যদি সবকিছু স্বাভাবিকই থাকে তাহলে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হল না কেন? যেখানে কিছুদিন আগে সত্যপাল মালিক নিজেই রাহুল গান্ধিকে প্লেন পাঠাবেন বলেছিলেন । এবিষয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিরও বক্তব্য একই । তাঁর মতে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে । এবিষয়ে সত্যপাল মালিককে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরি । বলেন, "আমার মনে হয় ওঁকে (সত্যপাল মালিক) রাজ্যপালের বদলে জম্মু ও কাশ্মীরের BJP সভাপতি করে দেওয়া উচিত । কারণ উনি যেভাবে কথা বলেন তা অনেকটা BJP নেতার মতো । রাহুল গান্ধিকে উনি নিজেই আহ্বান করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়ার জন্য । বিমান পাঠাবেন বলেছিলেন । কিন্তু রাহুল গান্ধি নিজেই ভাড়া করে গেছিলেন ওখানে । ঢুকতে দেওয়া হল না । তাহলে কি জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও বিরোধী দল ঢুকতে পারবে না? ওখানে কী চলছে তাহলে ? ওটা কী আর ভারতের অঙ্গ নয় ? আমরা তো এতদিন কাশ্মীরকে আমাদের দেশেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ভাবতাম ।"

5 অগাস্ট 370 ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে কার্যত দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন জম্মু ও কাশ্মীর । ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ টেলিকমিউনিশেন পরিষেবাও । কেমন আছে কাশ্মীর ? স্বাস্থ্য, শিক্ষার অবস্থাই বা এখন কেমন ওখানে ? নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্য সামগ্রীর কী দশা তা জানতে আগ্রহী দেশের আপামর জনসাধারণ । কেন্দ্রীয় সরকার বারবার দাবি করেছে, ভালো আছে কাশ্মীর । এরই মাঝে শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক দাবি করেন, জম্মু ও কাশ্মীরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে কোনও ঘাটতি হয়নি । সব স্বাভাবিকই আছে । যোগাযোগ প্রসঙ্গে বলেন, " মানুষের মৃত্যুর থেকে ভালো যোগাযোগ বন্ধ থাকা ।" কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে এবিষয়ে অধীর বলেন, "5 অগাস্টের পর ওখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই । স্কুল, কলেজ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে । বাইরের কোনও ইনস্টিটিউশন খোলা নেই । অন্যান্য রাজ্যের যারা ওখানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছিল তাদেরও টিকিট ক্যানসেল করতে হয়েছে । ওঁরা 370 প্রত্যাহারের সময় যা বলেছিলেন তার কী হল ? ওঁরা বলেছিলেন সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হবে, নতুন নতুন ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হবে । নতুন সকাল দেখবে কাশ্মীর । কোথায় গেল সে সব কথা । আদতে কী দেখল সবাই ? ওখানকার সাধারণ মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না । বাইরে থেকে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না । যদি সব ঠিকই থাকত তাহলে বাইরের লোকজনকে ঢুকতে দিত । কথা আর কাজের মধ্যে পার্থক্য আছে । কেউ বলুক উপত্যকায় আদতে চলছে কী । গুলাম নবি আজ়াদ ওখানকার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । ওঁর অধিকার নেই কাশ্মীরে প্রবেশ করার ?"

কাশ্মীর প্রসঙ্গে মন্তব্যের পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি । কংগ্রেস অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর বৈঠক নিয়ে যে কানাঘুঁষো চলছে তা নিয়ে স্পষ্ট বলেন, "আমি কিছু জানি না । বৈঠক হয়েছে, তাতে কী হয়েছে আমার জানা নেই । ফলে এবিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না ।" কিন্তু বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে তাঁর মনোভাব কী? অধীর বলেন, "আমি যখন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলাম তখন রাহুল গান্ধির পরামর্শে 2016-র বিধানসভা ভোটে বাম দলগুলির সঙ্গে আঁতাত করেছিলাম । তারপর তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় । আমরা সরকারের বিরুদ্ধে একইরকমভাবে প্রতিবাদ করি । কিন্তু সংঘবদ্ধভাবে লড়াইটা আমরা করতে পারিনি । তবে বিধানসভার মধ্যে দৃষ্টান্তমূলকভাবে কংগ্রেস ও বামেরা একইসঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে । এই লড়াইটা বাইরে নেই । আমি অনেকদিন ধরেই সওয়াল করে আসছি যে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাম এবং কংগ্রেসকে একইসঙ্গে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এগোনো উচিত । শুনলাম রাজ্যের বর্তমান কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেছেন । আমি আলোচনায় ছিলাম না । ফলে আমি জানি না কিছু । বলতে পারব না কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে । তবে যদি একসঙ্গে দু'দল চলে তাহলে ভালোই হয় ।"

দেখুন ভিডিয়ো

দিল্লি, 26 অগাস্ট : 5 অগাস্ট উপত্যকায় প্রত্যাহার হয় 370 ধারা । তারপর থেকেই কাশ্মীর ইশুতে তোলপাড় দেশ । কিছুদিন আগে কাশ্মীরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাহুল গান্ধি । টিপ্পনি কেটে 13 অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক রাহুল গান্ধির উদ্দেশে প্লেন পাঠাবেন বলেন । তবে শনিবার নিজের খরচেই রাহুলসহ 11 জন বিরোধী নেতা কাশ্মীরে যান । তাঁদের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে দিল্লি ফেরত পাঠানো হয় । সেই ইশুতে এবার সত্যপাল মালিককে একহাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি । তাঁকে রাজ্যপালের বদলে জম্মু ও কাশ্মীরের BJP-র সভাপতি বানিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন অধীর ।

বিরোধী দলনেতাদের সঙ্গে রাহুল গান্ধি শনিবার গেছিলেন কাশ্মীরে । সেখানে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি । রাহুল গান্ধি তারপর জানান, কাশ্মীরে যদি সবকিছু স্বাভাবিকই থাকে তাহলে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হল না কেন? যেখানে কিছুদিন আগে সত্যপাল মালিক নিজেই রাহুল গান্ধিকে প্লেন পাঠাবেন বলেছিলেন । এবিষয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিরও বক্তব্য একই । তাঁর মতে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে । এবিষয়ে সত্যপাল মালিককে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরি । বলেন, "আমার মনে হয় ওঁকে (সত্যপাল মালিক) রাজ্যপালের বদলে জম্মু ও কাশ্মীরের BJP সভাপতি করে দেওয়া উচিত । কারণ উনি যেভাবে কথা বলেন তা অনেকটা BJP নেতার মতো । রাহুল গান্ধিকে উনি নিজেই আহ্বান করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়ার জন্য । বিমান পাঠাবেন বলেছিলেন । কিন্তু রাহুল গান্ধি নিজেই ভাড়া করে গেছিলেন ওখানে । ঢুকতে দেওয়া হল না । তাহলে কি জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও বিরোধী দল ঢুকতে পারবে না? ওখানে কী চলছে তাহলে ? ওটা কী আর ভারতের অঙ্গ নয় ? আমরা তো এতদিন কাশ্মীরকে আমাদের দেশেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ভাবতাম ।"

5 অগাস্ট 370 ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে কার্যত দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন জম্মু ও কাশ্মীর । ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ টেলিকমিউনিশেন পরিষেবাও । কেমন আছে কাশ্মীর ? স্বাস্থ্য, শিক্ষার অবস্থাই বা এখন কেমন ওখানে ? নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্য সামগ্রীর কী দশা তা জানতে আগ্রহী দেশের আপামর জনসাধারণ । কেন্দ্রীয় সরকার বারবার দাবি করেছে, ভালো আছে কাশ্মীর । এরই মাঝে শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক দাবি করেন, জম্মু ও কাশ্মীরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে কোনও ঘাটতি হয়নি । সব স্বাভাবিকই আছে । যোগাযোগ প্রসঙ্গে বলেন, " মানুষের মৃত্যুর থেকে ভালো যোগাযোগ বন্ধ থাকা ।" কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে এবিষয়ে অধীর বলেন, "5 অগাস্টের পর ওখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই । স্কুল, কলেজ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে । বাইরের কোনও ইনস্টিটিউশন খোলা নেই । অন্যান্য রাজ্যের যারা ওখানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছিল তাদেরও টিকিট ক্যানসেল করতে হয়েছে । ওঁরা 370 প্রত্যাহারের সময় যা বলেছিলেন তার কী হল ? ওঁরা বলেছিলেন সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হবে, নতুন নতুন ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হবে । নতুন সকাল দেখবে কাশ্মীর । কোথায় গেল সে সব কথা । আদতে কী দেখল সবাই ? ওখানকার সাধারণ মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না । বাইরে থেকে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না । যদি সব ঠিকই থাকত তাহলে বাইরের লোকজনকে ঢুকতে দিত । কথা আর কাজের মধ্যে পার্থক্য আছে । কেউ বলুক উপত্যকায় আদতে চলছে কী । গুলাম নবি আজ়াদ ওখানকার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । ওঁর অধিকার নেই কাশ্মীরে প্রবেশ করার ?"

কাশ্মীর প্রসঙ্গে মন্তব্যের পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি । কংগ্রেস অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর বৈঠক নিয়ে যে কানাঘুঁষো চলছে তা নিয়ে স্পষ্ট বলেন, "আমি কিছু জানি না । বৈঠক হয়েছে, তাতে কী হয়েছে আমার জানা নেই । ফলে এবিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না ।" কিন্তু বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে তাঁর মনোভাব কী? অধীর বলেন, "আমি যখন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলাম তখন রাহুল গান্ধির পরামর্শে 2016-র বিধানসভা ভোটে বাম দলগুলির সঙ্গে আঁতাত করেছিলাম । তারপর তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় । আমরা সরকারের বিরুদ্ধে একইরকমভাবে প্রতিবাদ করি । কিন্তু সংঘবদ্ধভাবে লড়াইটা আমরা করতে পারিনি । তবে বিধানসভার মধ্যে দৃষ্টান্তমূলকভাবে কংগ্রেস ও বামেরা একইসঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে । এই লড়াইটা বাইরে নেই । আমি অনেকদিন ধরেই সওয়াল করে আসছি যে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাম এবং কংগ্রেসকে একইসঙ্গে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এগোনো উচিত । শুনলাম রাজ্যের বর্তমান কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেছেন । আমি আলোচনায় ছিলাম না । ফলে আমি জানি না কিছু । বলতে পারব না কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে । তবে যদি একসঙ্গে দু'দল চলে তাহলে ভালোই হয় ।"

দেখুন ভিডিয়ো
Greater Noida, Aug 26 (ANI): A massive fire broke out in a warehouse at Kasna in Greater Noida. Around 18 fire tenders present at the spot to douse the flames. No injuries have been reported so far. Further investigation is underway. More details are awaited.

Last Updated : Aug 26, 2019, 12:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.