কান্দি, 21 মে : বাবা-মা দু'জনেই ইংলিশের শিক্ষক । দাদু ছিলেন BDO । তবে পড়াশোনার জন্য বাবা-মা কোনওদিন বাড়তি চাপ দেননি তাকে । পড়াশোনার ফাঁকে ছবি আঁকা, কবিতা-ছোটো গল্প লেখে মাধ্যমিকে পঞ্চম রুমানা সুলতানা । কান্দি মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এই ছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর 686 । আগামীদিনে জীববিজ্ঞান বা রসায়ন নিয়েই পড়তে চায় সে ।
বাবা রবিউল আলম ভরতপুর গয়সাবাদ অচলা বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক । মেয়ের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "মেয়ের উপর আমাদের ভরসা ছিল । কোনওদিন চাপ দিইনি ওকে । যতটা পেরেছি বন্ধুর মতোই মিশেছি । সবসময় সববিষয়ে সাহস জুগিয়েছি । ওর ইচ্ছাকে বরাবর গুরুত্ব দিয়েছি আর আগামীদিনেও দেব ।"
শিক্ষা, সাহিত্য মানে এককথায় লেখাপড়ার পরিবেশেই বড় হয়েছে রুমানা । দাদু ছিলেন BDO । বাবা রবিউল আলম ও মা সুলতানা পারভিন দু'জনেই একই স্কুলের ইংরাজির শিক্ষক । বাবা মায়ের কাছ থেকে ছোটো থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে ছবি আঁকা, কবিতা লেখা, প্রবন্ধ চর্চা চালিয়ে গেছে সে । ইতিমধ্যেই রাজ্যের সেরা বেশ কয়েকটি পত্রিকায় তার কবিতা, ছোটো গল্পও ছাপা হয়েছে ।
এই ছোটো ছোটো বিষয়গুলো জানতে যখন সাংবাদিকরা ব্যস্ত তখন রুমানার সামনাসামনি হতেই সে বলে , "কবিতা, প্রবন্ধ, ছোটো গল্প লেখা আমার জীবনের মূল লক্ষ্য নয় । সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ থেকেই এই অভ্যাস বেড়ে উঠেছে । বিজ্ঞানের প্রতিই আমার আসক্তি বেশি । বিজ্ঞানের যেকোনও একটি শাখা নিয়ে পড়াশোনা করেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে চাই । আর সেই লক্ষ্য অবশ্যই গবেষণা ।" পরক্ষণেই মা সুলতানা পারভিন বলে ওঠেন, "এত ভালো রেজ়াল্ট হবে আশা করিনি । তাই আজ বাড়িতে উৎসবের মেজাজ ।" উচ্চ মাধ্যমিকও কান্দি মণীন্দ্রচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় থেকেই দিতে চায় বলে জানাল রুমানা ।