মুর্শিদাবাদ, 20 এপ্রিল: বিজেপি নেতা-কর্মীদের এবার পুকুরে নামতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ পুকুরে নামতে গেলে বিশাল পুলিশবাহিনী তাঁকে এবং অন্যান্যদের বাঁধা দেয় ৷ যার জেরে মহিলা মোর্চার নেত্রীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পরে পুলিশ। যে পুকুর বৃহস্পতিবার সংবাদ শিরোনামে এসেছে সেই পুকুরেই দিন দুই আগে নিজের দুটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা ৷ এদিন সেই পুকুর পরিদর্শনে গিয়েই পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধে জড়িয়ে যায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা ৷
এদিন জীবন কৃষ্ণের পুকুর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আন্দি কালীবাড়ি মোড় থেকে মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতির। যদিও পুলিশের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তির পরও পুকুর পাড়ে পৌঁছতে পারলেন না বিজেপি। বড়ঞা থানার পুলিশ মিছিল শুরুর আগেই রীতিমত পথ আটকে দেয় ৷ এরপরই সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপি নেতারা ৷ বিজেপির অভিযোগ, গোটা এলাকা সিভিক দিয়ে ঘিরে, মহিলা পুলিশ না রেখে রীতিমতো পুরুষ পুলিশ দিয়ে বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রীদের সঙ্গে অপব্যবহার করে এবং ধস্তাধস্তিও করে।
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জেলা সভাপতি, বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র-সহ মহিলা মোর্চা এবং কর্মীদের নিয়ে সটান চলে যান বড়ঞা বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার সেই পুকুরের কাছে। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন ছিল পুলিশ। সেখানে তাঁদের ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, "রাজ্য সরকার সিভিকদের দিয়েই শাসন করছে। পুলিশ রাজ্য সরকারের দলদাসে পরিণত হয়েছে। মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের হয়ে মুখ খোলার উপায় নেই, প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই।"
আরও পড়ুন: শুধু রেড রোড নয়, রাজ্যের সব ঈদগাহ ময়দানে নমাজের জন্য ছাউনি তৈরির দাবি শুভেন্দুর
পাশাপাশি অলিখিত ভাবে পুলিশ পুকুরের কাছে 144 ধারা জারি করে রেখেছে বলেও অভিযোগ তাঁর ৷ অন্যদিকে কান্দির এসডিপিও সাগর রানা সাফ জানান, পুকুরে ঢুকতে পারবেন না বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরই সদলবলে এলাকা ছাড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বিজেপি নেতা কৌশিক রায় জানান, সিভিক পুলিশ বিজেপির মহিলা নেত্রীদের গায়ে হাত দিয়েছে। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশকেও তারা মানছে না বলেও অভিযোগ।