জলঙ্গি, 29 সেপ্টেম্বর : জঙ্গি সন্দেহে ধৃত লিওন আহম্মদকে সঙ্গে নিয়ে ফের একবার তার বাড়িতে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA ৷ লিওন আহম্মেদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু জেহাদি পুস্তিকা মিলেছে বলে NIA সূত্রে খবর। বাড়ি তল্লাশির পর লিওনকে জলঙ্গি থানা ও BSF ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালায় NIA আধিকারিকরা ।
ডোমকল কলেজের অস্থায়ী কর্মী লিওন আহমেদ আনসারিকে 19 সেপ্টেম্বর জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করে NIA । তার বাড়ি থেকে একটি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও একটি পিস্তল উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা । বেশ কিছু জঙ্গি যোগের কাগজ ও নকশা মিলেছে ।
আজ দুপুরে ফের NIA এর আধিকারিকেরা জেলা পুলিশ ও BSF জওয়ানদের নিয়ে পুর্নতদন্তের জন্য লিওন আহম্মেদকে নিয়ে তার বাড়িতে হানা দেয়। প্রায় ঘণ্টা খানেক লিওনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় NIA গোয়েন্দারা । গোয়েন্দা সূত্রে খবর,লিওনের বাড়ি থেকে মিলেছে বেশ কিছু জেহাদি বই। পরিবারের লোকজনকেও আজ দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালায় NIA আধিকারিকেরা । এরপরই লিওনকে জলঙ্গি থানায় বসিয়ে আরও একদফা জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। সেখান থেকে BSF ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ জানা গিয়েছে, সেখানে আবারও একবার জেরা করে NIA আধিকারিকেরা ৷ তারপর সন্ধে নাগাদ লিওনকে সঙ্গে নিয়ে NIA এর পাঁচটি গাড়ি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷
19 সেপ্টেম্বর আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে মোট 9 জনকে গ্রেপ্তার করে NIA ৷ তাঁদের মধ্যেই একজন লিওন আহম্মেদ ৷ কেরালার এরনাকুলাম ও পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে হানা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ ধৃত জঙ্গিদের নাম- লিওন আহমেদ আনসারি, গাজি মিঞা, আবু সুফিয়ান, আতিকুর রহমান, আল মামুন কামাল, মাইনুল মণ্ডল, মুর্শিদ হাসান, নাজমুস সাকিব ও আইয়াকুব বিশ্বাস । তদন্তে নেমে NIA-এর গোয়েন্দারা বেশ কিছু তথ্য, অস্ত্র, ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে ।
NIA-র এক আধিকারিক জানান, রাজধানী-সহ দেশের মেট্রো শহরগুলিতে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল ওই জঙ্গিরা ৷ দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে নিরীহদের খুন করে আতঙ্ক ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের ৷NIA সূত্রে খবর, সোশাল মিডিয়ায় উর্দুতে একটি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল । যেখানে বলা হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও । তবে ধৃতদের পরিবারের দাবি, তাদের চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে ।