সামশেরগঞ্জ, 14 জুন : মুম্বইয়ে সেলাইয়ের কাজ করতেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী বছর পয়তাল্লিশের উমার ফারুক ৷ গতকাল বিকেলে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন তিনি ৷ তাঁর দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনতে আর্থিকভাবে অসমর্থ পরিবার ৷ তাই পাশে দাঁড়িয়েছেন কাদিরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক যুবক ৷ ওই যুবকের তৎপরতায় বাড়ি ফিরছে উমারের দেহ ৷
সামশেরগঞ্জ থানার মধ্য চাচণ্ড গ্রামে উমার ফারুকের বাড়ি ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদের দিন পনেরো আগে মুম্বইয়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন উমার ৷ সেলাইয়ের কাজ করতেন ৷ গতকাল বিকেলে সেলাইয়ের কাজ করার সময় মাথা ঘুরে পড়ে যান ৷ নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয় ৷ সহকর্মীরা তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷
আরও পড়ুন : লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করতে রাজ্যকে চিঠি রেলের
উমারের মৃত্যুর খবর পায় পরিবার ৷ মুম্বই থেকে দেহ আনতে প্রচুর খরচ ৷ যা উমারের পরিবারের পক্ষে দেওয়া অসম্ভব ৷ পরিবারের অসামর্থ্যের কথা জানতে পেরে পাশে দাঁড়ান কাদিরুল ৷ তিনিই পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন ৷
দেহ আনতে ইতিমধ্যেই দমদম বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা ৷ মৃতের পরিবারের দাবি, রাজ্যে কর্মসংস্থান না থাকায় ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে অনেককে ৷ এমনটা যাতে না হয় সেদিকে সরকার ও প্রশাসনের নজর দেওয়া প্রয়োজন ৷