খড়গ্রাম (মুর্শিদাবাদ), 11 জুলাই : রূপশ্রী প্রকল্পে ধরা পড়ল একাধিক ভুয়ো আবেদনপত্র ৷ খড়গ্রাম ব্লকের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ আবেদনপত্রগুলি যাচাই করতে বিডিও নিজেই এলাকা পরিদর্শনে যান ৷ আর সেই যাচাই প্রক্রিয়াতেই ধরা পড়ল, কোথাও বহু আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে আবেদনকারীর । কোথাও দেখা গেল নকল বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনা মোট 7 জনকে নোটিস ধরানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে ৷ সেই সঙ্গে তিন দিনের মধ্যে সদুত্তর চাওয়া হয়েছে তাঁদের কাছ থেকে ৷ আর জবাব দিতে না পারলে, মিথ্যে আবেদন করার অভিযোগে ওই পরিবারগুলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খড়গ্রামের বিডিও বাপি ধর ৷
কোথাও নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার পর, তার নামে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আবেদন করা হচ্ছে । আবার কোথাও রূপশ্রী প্রকল্পে বহু ভুয়ো আবেদনপত্র ৷ এমনই একাধিক ভুয়ো আবেদনপত্র জমা পড়ছে খড়গ্রাম বিডিও অফিসে । তাই নয়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে সবে মেয়ের বিয়ের জন্য যোগাযোগ শুরু হয়েছে অথবা বিয়ের জন্য কোনও যোগাযোগই হয়নি ৷ অথচ নকল বিয়ের কার্ড ব্যবহার করে রূপশ্রীর আবেদনপত্র জমা পড়ছে বিডিও অফিসে । আবার কারও বিয়ে হয়ে গিয়েছে দু-তিন মাস আগে ৷ এতদিনে তার আবেদন জমা পড়ছে । এইসব আবেদনপত্রগুলি আইন বহির্ভূত ৷
আরও পড়ুন : আইএএস, সিবিআইয়ের পর ভুয়ো ডিএসপি; মধ্য কলকাতার হোটেল থেকে গ্রেফতার
রাজ্য সরকারের এমন একাধিক কন্যাশ্রী বিশেষ করে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা পড়েছিল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম বিডিও দফতরে ৷ অবশেষে সেই আবেদনপত্রগুলি খতিয়ে দেখতে আবেদনকারীদের বাড়িতে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছেন বিডিও নিজে । বেশ কয়েকটি পরিবারে গরমিল ধরা পড়েছে ৷ তাঁদের নোটিস ধরানো হয়েছে বিডিও দফতরের তরফে । ছাপাখানার এক মালিককেও ভুয়ো বিয়ের কার্ড ছাপানোর অভিযোগে তলব করা হয়েছে । খড়গ্রাম ব্লকের বিডিও বাপি ধর বলেন, ‘‘বহু আবেদনপত্র ভুয়ো । তাদের নোটিস ধরিয়ে তিনদিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে । জবাব না মিললে আইনি পদক্ষেপ করা হবে ।"