বহরমপুর, 1 জুলাই: নিয়োগ, কয়লাচুরি থেকে শুরু করে গরুপাচার, এসব মামলায় সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করছেন ৷ এমনই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷ আর তার জন্য ‘ম্যাঙ্গো ডিপ্লোমেসি’ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ প্রধানমন্ত্রীকে পেটি-পেটি হিমসাগর ও ল্যাঙরা আম পাঠিয়েছেন তিনি ৷ অধীরের কথায় সিবিআই ও ইডি-র তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তাই এখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সিবিআই ও ইডি-কে লেলিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না ৷
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সায়নী ঘোষকে শুক্রবার সাড়ে 11 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি-র তদন্তকারীরা ৷ রাতে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সায়নী ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি তদন্তের স্বার্থে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন ৷ তবে, সকালে ইডি দফতরে ঢোকার আগে তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিজেপি সিবিআই-কে ব্যবহার করছে ৷ এমনকী সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকেও প্রায় একই কথা বলতে শোনা গিয়েছে ৷ তবে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷
বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেন, ‘‘সিবিআইকে লেলিয়ে দেওয়া হয়নি ৷ আদালতের নির্দেশেই তদন্ত করছে সিবিআই ৷ চোরকে চোর বলতে দিদির আপত্তি কোথায় আমি জানি না ৷ তবে, তদন্তের গতি কমাতে ও বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে দিদির চেষ্টার ত্রুটি নেই ৷ ওই তদন্ত যাতে ভবানীপুরের বাড়ি পর্যন্ত না পৌঁছায় তাঁর সবরকম চেষ্টা তিনি করছেন ৷’’ এর পরেই তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করছেন ৷ আর তার জন্য ‘ম্যাঙ্গো ডিপ্লোমেসি’-র পথ বেছে নিয়েছেন মমতা ৷ পেটি-পেটি হিমসাগর ও ল্যাঙরা আম পাঠিয়েছেন নরেন্দ্র মোদির কাছে ৷’’
আরও পড়ুন: দিদি আগামী দিনে মুখ্যসচিবকে মন্ত্রী করবেন, কটাক্ষ অধীরের
অন্যদিকে, গতকাল রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদ আরও 6 মাস বাড়িয়েছে কেন্দ্র ৷ যা নিয়ে তিনি মুখ্য়সচিবকে নিশানা করেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে নিজের পদের গরিমাকে বিসর্জন দিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর সেবা করার অভিযোগ এনেছেন ৷ আর এর ফলস্বরূপ আগামী দিনে তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য হবেন বলে বিশ্বাস অধীরের ৷